উৎসর্গ-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে
১৫ তম সংখ্যায় আছে মোট ১৫টি কবিতা, লিখেছেন-আবু জাফর দিলু,অমিতাভ দাশ,আলী রেজা,সৌমিত্র ঘোষ,এম আর ফারজানা , অনুপম দাশশর্মা,সুমী সিকানদার,সায়ক চক্রবর্তী,আহমেদ মুনীর,অর্পিতা, তমিজ তমোহর ,ফারহানা খানম, মৃন্ময় মীযান,ফোরদৌস হাসান খান এবং ইন্দ্রানী সরকার ।
হাপিত্যেশে শুধুই হাঁটছি
মৌলের হেঁসেলে রাঁধা-বাড়া ক্লান্তি-শ্রান্তি বুকে
যাবতীয় স্বপ্ন অজানিত ঘোরের বিবরে আজ,
অতীত পিছনে ফেলে নেশামত্ত বেঘোর ঘুমিয়ে
ভাঁজনীতি মিশ্রীদানা যেন বিবশ করেছে দেহ !
হাপিত্যেশে শুধুই হাঁটছি আশার পিদিম জ্বেলে,
এখন কোন প্রেমই আর বুকে টানতে পারে না ;
হাসির চোয়ানো ছলে রাশিরাশি মোহ ইন্দ্রজাল,
হৃদয় শুকিয়ে গেছে প্রতিশ্রুতি খরা নাব্যতায় !
আর কোথায় দাঁড়াবো বলো ? সবখানে শুধু
শঙ্কায় গোটানো চোরাবালি, শামুকের মতো
নীরবে নিভৃতে কাঁদছি পাথুরে অমসৃণ পথে ;
তবু মুঠোয় রেখেছি স্বপ্ন হবো অটল পাহাড় ।
সমান্তরাল ব্যথায় ব্যথায়
-অমিতাভ দাশ
কেন হাঁটো তুমি আমার সমান্তরালে
কেন মুখ ঢাকো অবুঝ কুয়াশা আড়ালে
যে আগ্রহ ছিল প্রদীপের শিখা
হল দাবানল যবে হাত তুমি বাড়ালে
কত কাটাকুটি দাবাছকে কতো ঘুঁটি
উল্টানো ছিল নিয়ন্ত্রণের ঝোঁক
হাতড়ে হাতড়ে ধ্রুবতারা বেঁধে খুঁটি
নিজেদের মতো পথ হারানোই হোক
ভালবাসা চর গড়েছিল এতো ঘটনা
অমর কাহিনী ভরে দেওয়া ছিল প্রেম
নদী কোথা থেকে বিশ্বাসে কোন রটনা
নিশ্বাসটাও তোমাকে যে দিয়েছিলেম!
কেন হাঁটো আজো আমার সমান্তরালে
সারা অবয়ব আর্তিতে ঘন মূল
পথেরাই যবে গাঁটছড়া বাঁধে আলে
ধান্যশীর্ষে স্বপ্নেরা ছিল ভুল?
কেন হাঁটো তুমি আমার সমান্তরালে
কেন মুখ ঢাকো অবুঝ কুয়াশা আড়ালে
যে আগ্রহ ছিল প্রদীপের শিখা
হল দাবানল যবে হাত তুমি বাড়ালে
কত কাটাকুটি দাবাছকে কতো ঘুঁটি
উল্টানো ছিল নিয়ন্ত্রণের ঝোঁক
হাতড়ে হাতড়ে ধ্রুবতারা বেঁধে খুঁটি
নিজেদের মতো পথ হারানোই হোক
ভালবাসা চর গড়েছিল এতো ঘটনা
অমর কাহিনী ভরে দেওয়া ছিল প্রেম
নদী কোথা থেকে বিশ্বাসে কোন রটনা
নিশ্বাসটাও তোমাকে যে দিয়েছিলেম!
কেন হাঁটো আজো আমার সমান্তরালে
সারা অবয়ব আর্তিতে ঘন মূল
পথেরাই যবে গাঁটছড়া বাঁধে আলে
ধান্যশীর্ষে স্বপ্নেরা ছিল ভুল?
শিরোনামহীন
–আলী রেজা
শাহবাগের মোড় থেকে
বিষ পিঁপড়া সরিয়ে
পাঁচ টাকায় বেলীফুল তুলে দিলাম
তোমার ছাই মাখা চুলে যা
বালের দৈর্ঘ্যের কাছাকছি।
তোমারে পেছনে নিয়া
পঙ্খীরাজে উড়াল দেই
যতবার ব্রেকচাপি
ততবার পিঠজুড়ে স্তনের প্রলেপ
আহা কি মাখন মাখামাখি
তুমি বলতে আমার বড্ড ভয় করে;
গতির কাঁটাটা বাড়তে বাড়তে
শিশ্নে এসে ঠেকেছিল
অমনি শরীরের অলি গলি ছেয়ে গেল
উড়ো হাঁস সাদা মেঘ আর
জালালী কবুতরে;
ভেসে গেছি প্লাবনের ছলাৎছল ঢেউয়ে।
কতবার বদলে গেছো
সাবান শ্যাম্পুর গন্ধ মেখে মেখে
বগলের গন্ধটাই বড্ড মানবিক ছিল
এখন হাসপাতালের টেবিলে
থেঁতলানো মাংস
বডি-লোশানের গন্ধ মাখা ত্বক
আর রক্তাক্ত নিতম্ব পড়ে আছে;
একটি মুড়ির টিন
অসূয়াবশত ধাক্কা দিয়েছিল পঙ্খীরাজের পাছায়
যখন জ্ঞান ফিরল, দেখি তোমার গা ভর্তি
প্রলিপ্ত চন্দন আমুন্ড-নখাগ্র দিকচিহ্নহীন
একটি সাদা কাপড়ের চাদরে মোড়া।
শাহবাগের মোড় থেকে
বিষ পিঁপড়া সরিয়ে
পাঁচ টাকায় বেলীফুল তুলে দিলাম
তোমার ছাই মাখা চুলে যা
বালের দৈর্ঘ্যের কাছাকছি।
তোমারে পেছনে নিয়া
পঙ্খীরাজে উড়াল দেই
যতবার ব্রেকচাপি
ততবার পিঠজুড়ে স্তনের প্রলেপ
আহা কি মাখন মাখামাখি
তুমি বলতে আমার বড্ড ভয় করে;
গতির কাঁটাটা বাড়তে বাড়তে
শিশ্নে এসে ঠেকেছিল
অমনি শরীরের অলি গলি ছেয়ে গেল
উড়ো হাঁস সাদা মেঘ আর
জালালী কবুতরে;
ভেসে গেছি প্লাবনের ছলাৎছল ঢেউয়ে।
কতবার বদলে গেছো
সাবান শ্যাম্পুর গন্ধ মেখে মেখে
বগলের গন্ধটাই বড্ড মানবিক ছিল
এখন হাসপাতালের টেবিলে
থেঁতলানো মাংস
বডি-লোশানের গন্ধ মাখা ত্বক
আর রক্তাক্ত নিতম্ব পড়ে আছে;
একটি মুড়ির টিন
অসূয়াবশত ধাক্কা দিয়েছিল পঙ্খীরাজের পাছায়
যখন জ্ঞান ফিরল, দেখি তোমার গা ভর্তি
প্রলিপ্ত চন্দন আমুন্ড-নখাগ্র দিকচিহ্নহীন
একটি সাদা কাপড়ের চাদরে মোড়া।
স্বপ্ন দিগর বাড়ী

-সৌমিত্র ঘোষ
ছলনায় খেলিছে প্রাণ মহা সমারোহে,
ভাঙনের তীরে আমার স্বপ্ন দিগর বাড়ী ।
একাকীত্বের সহবাসে, একাকী শুধু চাঁদ সমব্যথী;
ডুকরে কেঁদে রূপালীতে তার অশ্রু ঢাকি ।
মিছে প্রেম এতদিন কেবলই ছিল পরবাসী,
করুণ বিদায়ের সুরে বলে গেলো ডাকি ।
স্বপ্ন দিগর বাড়ী ডুবিল ভাঙনে সর্বগ্রাসী ।
ভাঙন সুখে প্রিয়া যে আত্মহারা
যেন বিজয়িনীর সুপ্ত আনন্দধারা ।
কেন প্রেম ভাঙে যুগে যুগে প্রিয়ার ছদ্মবেশে?
নিছক খেলার তরে বলে গেলো সে হাঁসি ।
ভাঙনের তীরে আমার স্বপ্ন দিগর বাড়ী ।
কালের ছলনায় যেদিন লুটিবে তার সর্বব্যাপী,
নিঃস্ব যাতনায় যেদিন
ফিরিবে হেথায় খুঁজিতে সমব্যথী,
সেদিন গড়িব আবার স্বপ্ন দিগর বাড়ী ।
প্রিয়া মিলিবে আমায়, ছলনা ছাড়ি আসি ।
আমার স্বপ্ন দিগর বাড়ী ।
মৃত্যুর ছায়া
মৃত্যুর পদধ্বনি আমাদের প্রতি পদক্ষেপের ছায়ায়
হাজারও ব্যস্ততার ভিড়ে তাকে ভুলে যাওয়া ,
অথচ মৃত্যু তীক্ষ্ণ নির্মম সত্য, আমারা ভুলে থাকি
ভুলে থাকি বলেই জীবনের ছন্দ নানা রঙে আঁকি।
কখনো ভ্রান্ত পথিক আমরা স্বল্প পরিসরের আয়ু রেখা
মোহগ্রস্থ দ্বিধায় চলমান অনুক্ষণ পাইনা প্রভুর দেখা
প্রেক্ষাপট জীবনের যাই হোক সুখদুঃখ,তবে!
মৃত্যুর সাধ আমাদের সবার একদিন নিতে হবে।
কি অদ্ভুত দোলাচলে নিঃশ্বাসের গতিবিধির পরিধি,
মোহমায়ায় আচ্ছন্ন চারিধার ভুলে যাই নিরবধি
পৃথিবীর ডিঙ্গায় আমরা নানা ধর্ম বর্ণের অভিযাত্রী
ডাক এলে দিতে হয় পাড়ি ওপাড়ে দিন অথবা রাত্রি ।
নীল সোহাগি'র সাথে
-অনুপম দাশশর্মা
সারাদিনের মেঘলা আকাশ টানলো আমায়
উঁকি দিলাম ভিজে ঘাসের ওড়নায়
ভেসে এলে আলতা পায়ে জড়োয়া চোখে
থমকে যেন চতুর্দিকের সন্ধ্যেমালা।
স্ফটিক গাছে ভিড় জমেছে স্নিগ্ধ বাতাস
সামনে তুমি জ্যোৎস্না ঠোঁটে ম্যাগনেলিয়া
বৃন্ত ছেঁড়া পরীর সমাজ পায় নি খোঁজ
চাঁদের হীরে ঝিনুক খোলে সাজায় মুখ।
আবছা মায়ায় ব্যবধানের নেই রেখা
কবুতর কাঁপছে কেমন আহ্লাদে
নিরাভরণ নীল সোহাগে সম্মোহন
বাতাস উড়ুক কমলকলির চারপাশে।
সারাদিনের মেঘলা আকাশ টানলো আমায়
উঁকি দিলাম ভিজে ঘাসের ওড়নায়
ভেসে এলে আলতা পায়ে জড়োয়া চোখে
থমকে যেন চতুর্দিকের সন্ধ্যেমালা।
স্ফটিক গাছে ভিড় জমেছে স্নিগ্ধ বাতাস
সামনে তুমি জ্যোৎস্না ঠোঁটে ম্যাগনেলিয়া
বৃন্ত ছেঁড়া পরীর সমাজ পায় নি খোঁজ
চাঁদের হীরে ঝিনুক খোলে সাজায় মুখ।
আবছা মায়ায় ব্যবধানের নেই রেখা
কবুতর কাঁপছে কেমন আহ্লাদে
নিরাভরণ নীল সোহাগে সম্মোহন
বাতাস উড়ুক কমলকলির চারপাশে।
বারুদের বাড়াবাড়ি
–সুমী সিকানদার
ভালোবাসি তাই বারুদের ঘ্রাণ পাই নিজের বুকে.........
ভালোবাসি তাই বারুদের ঘ্রাণ পাই নিজের বুকে.........
তুমি জানতেনা, তোমারই হাত ফসকানো গুলিরা আজ ব্রেকিং নিউজ!
বারুদের ঘ্রাণের সাথে সাথে আমিও উধাও...উধাও ।
এখন যত্র তত্র ছুঁতে পারো প্রিয়তমার কমলা ওষ্ঠ,
গুঁজতে পারো পায়রা বুকের পালক সরিয়ে নিজের মুখ।
সন্ধি কি দূরঅভিসন্ধিতে ..!! তা নিতান্তই তোমার ব্যাপার।
শেষ রাতের ভাগ বাটোয়ারা সময় সাপেক্ষ......
সবটুকু গুছিয়ে নিও আঁধার থাকতে থাকতেই।
তার পর ফিরে যেও নির্বিকার
তুমি ও তোমার বুকপকেটের চারকোনা গ্যাস।
বারুদের ঘ্রাণের সাথে সাথে আমিও উধাও...উধাও ।
এখন যত্র তত্র ছুঁতে পারো প্রিয়তমার কমলা ওষ্ঠ,
গুঁজতে পারো পায়রা বুকের পালক সরিয়ে নিজের মুখ।
সন্ধি কি দূরঅভিসন্ধিতে ..!! তা নিতান্তই তোমার ব্যাপার।
শেষ রাতের ভাগ বাটোয়ারা সময় সাপেক্ষ......
সবটুকু গুছিয়ে নিও আঁধার থাকতে থাকতেই।
তার পর ফিরে যেও নির্বিকার
তুমি ও তোমার বুকপকেটের চারকোনা গ্যাস।
তিন-তারা
-সায়ক চক্রবর্তী
১
যতদূরে চলে যাওয়া যায়
ঠিক তত কাছে চলে আয়।
কাছে এসে দূরে থাক
মাপটুকু কাছে রাখ
যেন পরে দূরে যাওয়া যায়।
২
মাটি ফাটা মন জমি পড়ে তাও কাস্তে
পর্দায় ঢাকা সব মানা আছে আসতে।
চোখে যদি পড়ে যায়
ফেরানোর পথ নাই
নদী আছে চোখ ভরা আনমনে ভাসতে।
৩
চেয়ার – টেবিল – পর্দা – পাখা হাতের ম্যাজিক হাতে
নিয়ন আলো জ্বলছে আজও অন্য কারও সাথে।
সঙ্গীবিহীন ভঙ্গিমা
হয়ত তোমার সঙ্গী না
হাতের ম্যাজিক ঠিক শিখেছি এবার হাতেনাতে।
১
যতদূরে চলে যাওয়া যায়
ঠিক তত কাছে চলে আয়।
কাছে এসে দূরে থাক
মাপটুকু কাছে রাখ
যেন পরে দূরে যাওয়া যায়।
২
মাটি ফাটা মন জমি পড়ে তাও কাস্তে
পর্দায় ঢাকা সব মানা আছে আসতে।
চোখে যদি পড়ে যায়
ফেরানোর পথ নাই
নদী আছে চোখ ভরা আনমনে ভাসতে।
৩
চেয়ার – টেবিল – পর্দা – পাখা হাতের ম্যাজিক হাতে
নিয়ন আলো জ্বলছে আজও অন্য কারও সাথে।
সঙ্গীবিহীন ভঙ্গিমা
হয়ত তোমার সঙ্গী না
হাতের ম্যাজিক ঠিক শিখেছি এবার হাতেনাতে।
সুহৃদ উপত্যকা
-আহমেদ মুনীর
চারদিকে কেমন বৈরী বাতাস লূ হাওয়া
ধেয়ে আসছে এনড্রমিডো
অন্তত ছ'শ কোটি বছরে একবার মৃত্যু
মাথাটা ঝাঁঝরা ভারী হয়ে আসে
একটু মুক্ত থাকতে চাই
বুক ভরে বিশুদ্ধ বাতাস চাই
আর তা যদি মৃত্যুও হয়
তাতেও আপত্তি নেই ।।
তোমাকে দেখা মানে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা
আবারও বেদনার সিঁড়ি বেয়ে সেই পথ চলা
ভাবছি তাই তোমাকে না দেখে আসব ফিরে
সেই উপত্যকায় যেখানে সূর্যোদয় নেই সূর্যাস্ত নেই
রোদ নেই মেঘ নেই বৃষ্টি নেই ঝড় নেই
রাত্রি নেই দিন নেই
পাহাড় পর্বত বনভূমি নেই জোছনা নেই
কাল মহাকাল নেই আকাশ মহাকাশও নেই
এখানে তুমি তোমরা কেউ থাকবে না
এখানে তোমার তোমাদের প্রবেশাধিকার নেই
দিন ও রাত্রির সাথে অবিচ্ছিন্ন করে রাখা
তোমাদের ভালবাসা ঘৃণা তাও নেই এখানেই
আমার একান্ত নিজস্ব শাব্দিক জগত ভূ-ভাগ।।
এখান থেকে কেউ ফেরে না
তোমার তোমাদের কলকাকলিতে ব্যস্ততায়
প্রাত্যহিক গিজগিজে মানুষের ভিড়ে
আর যন্ত্রদানবের কানফাটা চিৎকার হুইসেল
চেঁচামেচি ভাসমান তেজস্ক্রিয় কণা
সকাল সন্ধ্যা দিন রাত্রির খেলা ওসব কিছুই নেই।।
এইভাবে নিজেকে ধরে রাখা ধরে রেখেছি
এইটাই আমার সুহৃদ উপত্যকা ।।
ইচ্ছা করে
-অর্পিতা
মুঠোফোনে গুরুগম্ভীর আওয়াজ
ইচ্ছা জাগে সে কণ্ঠ চুম্বনের
ইচ্ছা জাগে দু'হাতে জড়াই
মনের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধি
আলিঙ্গন করি সকল অধীরতায় ।
ইচ্ছা করে বর্ষণ ক্লান্ত দিন হতে
তোমাকে নিয়ে
ইচ্ছা করে হারাই তোমার সাথে
দারুচিনির দেশে
ইচ্ছা করে পালাই জোছনা মেখে
নিঃসীম অরণ্যের গহীনতায়
পাতা ঝরার গান শুনতে !
ইচ্ছা করে ঝরনা হই দুজনে
ঝরি পাহাড়ের গোপন কন্দরে
ইচ্ছা করে ছায়া ঘেরা গ্রাম হই
নদীর ধারে !
খুব ইচ্ছা করে বসন্ত বর্ষা হতে ;
আরও কতশত ইচ্ছা জমেছে
বুকের গোপন কন্দরে ।
এভাবেই পলি পড়ছে অবিরাম
ইচ্ছে - পলি
স্তরে স্তরে
যা কখনো পূর্ণ হবার নয় ।
তুমি আমার নতুন ব্যর্থ প্রেমিক !
আশ্চর্য --
ইচ্ছেরা উড়ুক হাওয়ায়
হাসির সাথে ।
মুঠোফোনে গুরুগম্ভীর আওয়াজ
ইচ্ছা জাগে সে কণ্ঠ চুম্বনের
ইচ্ছা জাগে দু'হাতে জড়াই
মনের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধি
আলিঙ্গন করি সকল অধীরতায় ।
ইচ্ছা করে বর্ষণ ক্লান্ত দিন হতে
তোমাকে নিয়ে
ইচ্ছা করে হারাই তোমার সাথে
দারুচিনির দেশে
ইচ্ছা করে পালাই জোছনা মেখে
নিঃসীম অরণ্যের গহীনতায়
পাতা ঝরার গান শুনতে !
ইচ্ছা করে ঝরনা হই দুজনে
ঝরি পাহাড়ের গোপন কন্দরে
ইচ্ছা করে ছায়া ঘেরা গ্রাম হই
নদীর ধারে !
খুব ইচ্ছা করে বসন্ত বর্ষা হতে ;
আরও কতশত ইচ্ছা জমেছে
বুকের গোপন কন্দরে ।
এভাবেই পলি পড়ছে অবিরাম
ইচ্ছে - পলি
স্তরে স্তরে
যা কখনো পূর্ণ হবার নয় ।
তুমি আমার নতুন ব্যর্থ প্রেমিক !
আশ্চর্য --
ইচ্ছেরা উড়ুক হাওয়ায়
হাসির সাথে ।
উষ্ণ হাতপাখা

-তমিজ তমোহর
মাটি -
কোথায় বুনেছ বীজ, কত দিন পর বেড়ে উঠবে চারা- উদোম আকাশ
রোঁদ, ঝড়, বাতাস, আমি ধৈর্য হারা। কত গাছ আকাশে উঁকি দেয়
শত গাছে মাটিতে গড়াগড়ি খায়, ভারসাম্যহীন লতা অন্যকে আশ্রয় বানায়।
দেশ -
পালাও আগুন লাগল দেহে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সব। এবার রক্ষা নাই
আমার ক্লান্তিহীন স্বপ্ন শকুনের পায়ে উড়ে যায়। জাগো চড়ুই পাখির দল
সারি সারি ডানা মেলে উড়ো, আজ অট্টালিকায় বিশাল ক্ষুধা, সব কিছু গিলে খায়।
পথ -
কাদা মাটির এই পথ। ধুলো জমা, ধুলো উড়া এই পথ। চোখে ঝাপসা দেখি
আজ আর পথ নেই। ইঁদুর বিড়াল সতর্ক পায়ে চলে, কেউ ঘিরে পেলে তাদের
আবার কেউ লাঠি দিয়ে মারে। মৃত্যুর জন্য জন্ম তাদের,শুধু বেঁচে থাকার স্বপ্ন
সবকিছু ছেড়ে তাদের দেহ কঙ্কাল হয়ে উড়ে।
যোগ বিয়োগ -
পাহাড় আর পাথর একি সমতায় থাকে। কে কাকে করবে আলিঙ্গন...
ক্রমশ পতনের শব্দ, আকাশ মুখি চোখ, উচ্চ শব্দে বলে পতনে আমার ভয় নাই
আমার শিরদাঁড়া নাই।
আবেদন -
দরজা বন্ধ করে এসো। দেখ ভেতরে; কে যেন টেনে টেনে নাড়ি ছিঁড়ে পেলে।
অতিথি সন্ন্যাসী ঘরে, ঘোরে মাঝে দরজায় আওয়াজ- খুলে দাও দরজা
ক্ষমার ঊর্ধ্বে কিছু নাই, আজ বাঁচতে দাও নবজাতক।
মুক্তি -
কোলাহল থেমে যায়। কেঁদে কেঁদে উঠে বর্ণমালা। মানুষের জিভে বিষ।
মানুষ মানুষের মাংস খায়! সব দাঁত ভেঙে দাও, কেটে দাও সব জিভ
আজ রক্ত উৎসব হোক।
দরজা বন্ধ করে এসো। দেখ ভেতরে; কে যেন টেনে টেনে নাড়ি ছিঁড়ে পেলে।
অতিথি সন্ন্যাসী ঘরে, ঘোরে মাঝে দরজায় আওয়াজ- খুলে দাও দরজা
ক্ষমার ঊর্ধ্বে কিছু নাই, আজ বাঁচতে দাও নবজাতক।
মুক্তি -
কোলাহল থেমে যায়। কেঁদে কেঁদে উঠে বর্ণমালা। মানুষের জিভে বিষ।
মানুষ মানুষের মাংস খায়! সব দাঁত ভেঙে দাও, কেটে দাও সব জিভ
আজ রক্ত উৎসব হোক।
অনিন্দিতা
-ফারহানা খানম
-কেমন আছ অনিন্দিতা?
-ওহ শুভ্র এইতো ভালো ,তুমি?
- জান! তোমার জন্য ফুল নিয়ে বসে বসে
-আমার দিনটাই মাটি কেউ এত দেরি করে ?
অনিন্দিতা
-আজ আমার মন খারাপ ।
-কেনগো কি হোল আবার এইতুকুতেই এত রাগ?
-দেখ কি সুন্দর আজকের বিকেলটা
-আজ বড্ড গুমোট অনিন্দিতা
-কি বলছ শুভ্র কি সুন্দর ঝিরঝিরে হাওয়া
-স্নিগ্ধ রোদ্দুর!!
-রাখতো মণ খারাপের গল্প দেখ কি এনেছি তোমার জন্য ;
-ওহ ফুল ?
-নাগো শুধু ফুল নয় তোমার প্রিয় কবিতার বই ,
- রেখে দাওনা আজ ওসব
-শুভ্র গান শুনবে ? নাগো ভালো লাগছেনা
-তবে থাক তোমার কথাই বল ।
-জান অধরা আজ চির বিদায় নিল
-কোন অধরা ? ওই যে তোমার সাথে সেদিন দেখেছিলাম
-বই এর দোকানে?
-হ্যাঁ সেই ;
- কি হোল তাতে যেতেই পারে তবে কেন গেল?
- জানিনা হয়তো আমাকে আর তার ভাল লাগলো না ।
- কি হোল গেলইবা সে !!!!!!
অনন্দিতা!
-আমি যে তাকে ভালবাসি অনেক কাল ধরে!
শুভ্র
-তুমি আমার কত কালের চেনা?
-মনে নেই ..
-সেই ছোট বেলার খেলার সাথি তুমি ।
-হ্যাঁ তাইতো একসাথে কতো খেলেছি
-কত খুনসুটি , মারামারি!
-হ্যাঁ সব মনে আছে ...অনিন্দিতা সব!
--তুমি যে আমার খুব কাছের বন্ধু!!
-ওহ শুধুই বন্ধু !!আচ্ছা চলি শুভ্র
-ও কি !আমার ফুল আর বই দিলেনা ?
-না থাক আরেকদিন হবে আজ যাই
- ও কি অনিন্দিতা ?তোমার চোখে জল ?
-কই নাতো কি যেন পড়লো বাতাসে এসে ।
-কই এত বাতাস! কি এমন পড়লো? দেখি কাছে এস !
- না থাক দেখছনা কেমন মেঘ করেছে !!
-কই মেঘ এতো রোদেলা আকাশ আর তুমি মেঘ দেখছ ?
-হ্যাঁ শুভ্র আজ আমার মনের আকাশ জুরে মেঘের ভেলা
অনন্দিতা ,
-- অনেক হোল দাও দেখি আমার বই আর ফুল !!
- আজ থাক শুভ্র আমি চলি ভাল থেকো তুমি।
দাঁড়াও!
অনিন্দিতা আমার কথা শোন,
-এতকাল বুঝিনি কেন তোমাকে ?
-থাক না শুভ্র এতকাল যে কথাটি ছিল তোমার মনের আড়ালে,
- আজো না হয় থাক ..।
-কেমন আছ অনিন্দিতা?
-ওহ শুভ্র এইতো ভালো ,তুমি?
- জান! তোমার জন্য ফুল নিয়ে বসে বসে
-আমার দিনটাই মাটি কেউ এত দেরি করে ?
অনিন্দিতা
-আজ আমার মন খারাপ ।
-কেনগো কি হোল আবার এইতুকুতেই এত রাগ?
-দেখ কি সুন্দর আজকের বিকেলটা
-আজ বড্ড গুমোট অনিন্দিতা
-কি বলছ শুভ্র কি সুন্দর ঝিরঝিরে হাওয়া
-স্নিগ্ধ রোদ্দুর!!
-রাখতো মণ খারাপের গল্প দেখ কি এনেছি তোমার জন্য ;
-ওহ ফুল ?
-নাগো শুধু ফুল নয় তোমার প্রিয় কবিতার বই ,
- রেখে দাওনা আজ ওসব
-শুভ্র গান শুনবে ? নাগো ভালো লাগছেনা
-তবে থাক তোমার কথাই বল ।
-জান অধরা আজ চির বিদায় নিল
-কোন অধরা ? ওই যে তোমার সাথে সেদিন দেখেছিলাম
-বই এর দোকানে?
-হ্যাঁ সেই ;
- কি হোল তাতে যেতেই পারে তবে কেন গেল?
- জানিনা হয়তো আমাকে আর তার ভাল লাগলো না ।
- কি হোল গেলইবা সে !!!!!!
অনন্দিতা!
-আমি যে তাকে ভালবাসি অনেক কাল ধরে!
শুভ্র
-তুমি আমার কত কালের চেনা?
-মনে নেই ..
-সেই ছোট বেলার খেলার সাথি তুমি ।
-হ্যাঁ তাইতো একসাথে কতো খেলেছি
-কত খুনসুটি , মারামারি!
-হ্যাঁ সব মনে আছে ...অনিন্দিতা সব!
--তুমি যে আমার খুব কাছের বন্ধু!!
-ওহ শুধুই বন্ধু !!আচ্ছা চলি শুভ্র
-ও কি !আমার ফুল আর বই দিলেনা ?
-না থাক আরেকদিন হবে আজ যাই
- ও কি অনিন্দিতা ?তোমার চোখে জল ?
-কই নাতো কি যেন পড়লো বাতাসে এসে ।
-কই এত বাতাস! কি এমন পড়লো? দেখি কাছে এস !
- না থাক দেখছনা কেমন মেঘ করেছে !!
-কই মেঘ এতো রোদেলা আকাশ আর তুমি মেঘ দেখছ ?
-হ্যাঁ শুভ্র আজ আমার মনের আকাশ জুরে মেঘের ভেলা
অনন্দিতা ,
-- অনেক হোল দাও দেখি আমার বই আর ফুল !!
- আজ থাক শুভ্র আমি চলি ভাল থেকো তুমি।
দাঁড়াও!
অনিন্দিতা আমার কথা শোন,
-এতকাল বুঝিনি কেন তোমাকে ?
-থাক না শুভ্র এতকাল যে কথাটি ছিল তোমার মনের আড়ালে,
- আজো না হয় থাক ..।
শূন্যতা
-মৃন্ময় মীযান
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
মাঝে মাঝে তোমাকেই ভুলে যাই!
তোমার ভেতর দুরের শহর-
গ্রামের পথ হয় আমি ছুটে চলি।
ঘণ্টায় ঘণ্টায় রূপান্তর,নতুনের আবির্ভাব
চোখ জুড়ে নেমে আসে।
আমি যেন এক নবীন পথিক
ভাল লাগে এই সব,যা কিছু দৃশ্যমান।
তারপর-
সময়ের ঘড়ি চোখ সরিয়ে দেয়।
আবারও বিষাদগম্ভীর গল্পের মত এই জীবন।
চারপাশে ফিকির সন্ধানী চড়ুইয়ের ঝাঁক -
ঝাঁঝালো গন্ধ
কষ্ট অথবা অন্য কিছুর।
পেছনে পড়ে থাকে
এক সীমাহীন শূন্যতা...
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
মাঝে মাঝে তোমাকেই ভুলে যাই!
তোমার ভেতর দুরের শহর-
গ্রামের পথ হয় আমি ছুটে চলি।
ঘণ্টায় ঘণ্টায় রূপান্তর,নতুনের আবির্ভাব
চোখ জুড়ে নেমে আসে।
আমি যেন এক নবীন পথিক
ভাল লাগে এই সব,যা কিছু দৃশ্যমান।
তারপর-
সময়ের ঘড়ি চোখ সরিয়ে দেয়।
আবারও বিষাদগম্ভীর গল্পের মত এই জীবন।
চারপাশে ফিকির সন্ধানী চড়ুইয়ের ঝাঁক -
ঝাঁঝালো গন্ধ
কষ্ট অথবা অন্য কিছুর।
পেছনে পড়ে থাকে
এক সীমাহীন শূন্যতা...
বিধাতার কাছে প্রশ্ন

-ফোরদৌস হাসান খান
জীবনের স্রোত বয়ে চলেছে
অনুন্মোচিত রহস্যের তীব্র বাসনায়
বিবাগী হয়ে হৃদয়ের হাতে হাত রেখে।।
জীবনের ক্ষুদ্র চাওয়া-পাওয়ার কলরব
বেঁচে থাকার জন্য,
আশার আলোর সংগ্রাম,
সব অতল স্তব্ধতায় ডুবে গেলে;
জীবন পথ হারিয়ে,
কেমন যেন দূরে চলে যায়
হাসি ভরা জীবন ছেড়ে।।
মনের দুঃখ, হতাশা,
জীর্ণ শরীরের বেদনা আর
পরিহাস তখন উলুধ্বনির মত
ভরে ওঠে আকাশে বাতাসে।।
বুক ভরা ব্যর্থতার জ্বালা
যেন মলিন বিবর্ণ করে
জীবন সংগ্রামে বিপর্যস্ততার
নিষ্ঠুর আঘাতে জর্জরিত মন
অসহ্য যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে
বিধাতাকে বলে ওঠে-
মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ করে
সৃষ্টি করেছো তুমি
তবুও এ পৃথিবীতে মানুষই
সব চেয়ে অসুখী।।
তোমার সৃষ্টির এই বিপুলতা
আর বৈচিত্র্যের মধ্যে কেন
একমাত্র মানুষকেই কেন
মন দিয়ে এত জটিল করে রেখেছো তুমি ?
ঠাকুরমার ঝুলি
-ইন্দ্রানী সরকার
স্বপ্ন-নীল ও স্বপ্ন-নীল
চোখের মাঝে অতল ঝিল |
ডুবকি দিয়ে ঝিলের মাঝে
রাজার কুমার মুক্ত খোঁজে ||
চাঁদের আলো উছলে পড়ে
ঝিলের 'পরে আলস ভরে |
রাজার কুমার হন্যে হয়ে
মুক্ত খোঁজে দুহাত দিয়ে ||
হঠাৎ পেয়ে মুক্ত - ছোঁয়া
রাজকুমারের অবাক হওয়া |
অবাক চোখ তুললো যখন
সামনে দেখে দাঁড়িয়ে জীবন |
বাড়ায়ে হাত সে হাস্যমুখী
খুশির আলোয় ভাসছে আঁখি ||
মুক্ত লুকোনো তারই চোখে
কুমার হল অবাক দেখে |
ভালোবাসার মুক্ত ভরা
সেই চোখে সে পড়ল ধরা ||
মনের মিলন সুখ আলাপন
স্বপ্নে ভরে দোঁহার জীবন |
ঝুলির মুখ এবার বন্ধ হল
ঠাকুরমা তুমি ঘরে চল ||
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন