ঢাকা ,মঙ্গলবার ১৫ মে , পহেলা জ্যৈষ্ঠ , তৃতীয় সংখ্যা ।


তৃতীয় সংখ্যায় আছে মোট বারটি কবিতা, লিখেছেন-অর্পিতা,শুভ বাবর,মুনীব রেজওয়ান,শ্রুতি চৌধুরী, মৃন্ময় মীযান,সৌভিক দা', মাহবুবা কামাল বিনু,জহিরুল হক বাপি,এম আর ফারজানা,এস.আর.এফ খান,ফেরদৌস হাসান খান এবং ইমেল নাঈম্ ।




খালপাড়ের জীবন 






-অর্পিতা








খালপাড়ে --- ওদের ঘর,
ওই জীবন আমি ছুঁতে চাই।
হাঁটতে হাঁটতে চলেছি খালপাড় ধরে –
ধুলো লেগেছে দু'পায়ে,
হয়তো শরীরেও ;
শেষ বেলার চকিত চাহনি হেনেছে সূর্য,
ওদের ছোট্ট বেড়া-ঘরে।
ধুলো মাখা শিশু বসে আছে আদুর গায়ে—
পড়ন্ত বিকেলের আলো মেখে শরীরে-মনে।
আলো নিভে গেলেই খেলাঘরের ছুটি।
ধুলো মাখা শিশু বাপ-মার পাশে নিদ্রিত;
জীবনের গান থেমে গেছে , বেড়া-ঘরে –
নিভে গেছে আলো,
সার-সার বেআবরু বিছানার সারি ----
আমিও আজ ওদের একজন;
খালপাড়ে – নেমেছি,
কাদাজলে ছাপ এঁকেছে আমার পা;
ধুলো মেখেছি মনে ও শরীরে - ছোট শিশুটির সাথে,
ওই জীবন আমি ছুঁয়েছি। 



মন্ত্রমুগ্ধ ফুরো ঈশ্বরে বাঁচো 


-শুভ বাবর 






তবুও সন্ধ্যা নামছে পশ্চিম কোণে
মন্ত্রমুগ্ধ ফুরো ঈশ্বরে বাঁচো ,
হেলে পড়া বিকেল বেলার সুখ ঘরে আনে
নতুন অতিথি দিগন্তের ঊষা
ডাক দেয় .....মৃত্যু স্বর্গীয় উপত্যকায় ,
জাগতিক সংগীতের আস্ফালন ,
বুকের ভিতর কিসের জানি চিকন ব্যথা ও কষ্ট ,
শ্বাসকষ্ট হয় মাঝে মাঝে
ঘুমের ভিতর ও স্বপ্নেরা ব্যারিকেড দেয় ,
এক এক করে সবাই ফিরে যায় ,
আমাকেও ফিরতে হবে ,শুধুই সময়ের
অপেক্ষা করে মাত্র চব্বিশ ঘণ্টা ৷

বারে বারে দেবদূতের কাছে আর কিছুদিনের
বাঁচার স্বপ্নঘর বুনেছি দোচালা ....
অনেক বড় বেশী অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ,
যেন দুষ্টু বেবুন আমি ,.....................
যেন ক্ষতি হয়েছে আমার আসাতে,
যেন আমারই দায়ভার বেঁচে আছি কেন ?
বাঁচার নেশায় বুধ হয়ে আছি ও অযাচিত মনের
লাইব্রেরীতে মানুষের বীর্য গিজ গিজ করছে।
যেন মনে হচ্ছে পৃথিবীর সব কোলাহল বন্ধ আমারই জন্য
আমার এই অচলের দেশে আসল আর নকল
মানুষ চিনেছে শয়তান ,ভগবান শুধু উপর থেকে
আঙ্গুল চুষছে বেহায়ার মত ,আমাকে দেখে ৷



ফিরে এসো নীড়ে   


- মুনীব রেজওয়ান




তোমাকে শাসন করতে দিয়েছি
বোকা সোকা একটি হৃদয়কবিতার মতো

দিগন্ত দিয়েছি বেঁধে কৈবর্তের জালে
জীবনের কাল অকাল বসন্ত যত---
পাহাড়ের গা ছুঁয়ে নেমে যাওয়া নদী
সাগরের উচ্ছ্বাস তরংগ---তাও দিয়েছি তুলে

দুই বাহু বাড়ালে এখনো ছুঁতে পারি চাঁদ
পৃথিবীর দুই গোলার্ধ মুঠোয় পারি কুচলে দিতে
ছেড়ে যদি যাও---
জানবে কতটা দীর্ঘ হয় বামনের হাত

তোমাকে আকাশ দিয়েছি অবারিত--মেঘে জলে
ঘুরে ফিরে চলে এসো নীড়ের জোনাকি।



একটু উষ্ণতার জন্যে 


 

-শ্রুতি চৌধুরী









তুমি বাড়িয়েছিলে হাত
বলেছিলে ধর
এখানে আছে উষ্ণতা
আমি তোমার বাড়ানো হাতে
হাত রেখে হেঁটেছিলাম কয়েক পা.
কি ভীষণ মিথ্যে ছিল তোমার প্রতিশ্রুতি
তোমার চারপাশে ছিল
বরফযুগের নিষ্ঠুর প্রাচীর,
তোমার বাগানে ফোটেনি কোন ফুল
ডাকেনি কোন পাখী,
তোমার প্রাসাদে অবিরা্ম
বয়ে যেত হিমেল বাতাস
সাথে মৃত্যুর দীর্ঘশ্বাস
তোমার চেনা মুখে আজ
ক্রমশঃ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর ছায়া
অচেনা নিষ্ঠুরতার
আর আমি?বরফ জমা ঝর্ণার মত
অপেক্ষায় বসে
নতুন এক উষ্ণতার



একাকীত্বের এক প্রহরে 
  
  
- মৃন্ময় মীযান

 

একাকীত্বের এক প্রহরে...

রুদ্ধ রাতের দেয়ালে

ভেসে ওঠে স্মৃতির জলজ চোখ

ঝাপসা সে চোখ,

তাকিয়ে থাকে অনেকক্ষন

তারপর বলে,কিছু ছবি এঁকেছি,

তোমায় ছুঁয়ে দিতে।।



আমার অস্থির চোখ উদগ্রিব হয়

বুকের ভেতর ঝলক দিয়ে যায়

দেখার নেশা



আঁকা ছবি দেখব বলে দাঁড়াতেই,

প্রতি ক্যানভাসেই গল্প দেখি

রক্ত মাখা ছুরির গল্প-হৃদয় ভাগ হয়ে যাবার গল্প



অতঃপর দ্বিধাহীন ভাবে পাপড়ি বন্দী চোখ,

নিজেকেই দ্যাখে !

আয়নায় দেখার তৃঞ্চা মেটায় ।।



 নৈর্ব্যক্তিক !

- সৌভিক দা'














তুমি তো স্বাভাবিকও হতে পারতে !
তোমারও তো থাকতে পারতো একটি লাল-নীল সুপাঠ্য সংসার
আর থাকতে পারতো দু'দশ গণ্ডা অবৈধ নাগর !
সেই নাগর দোলায় চড়ে তুমি বৈশাখী হাওয়া খেতে পারতে অনায়াসে

তুমি মেঘেদের দিকে তাকিয়ে নির্নিমেষ
উদাস হতে পারতে এক মধ্য বিকেলে
তুমি জনসমুদ্রে ছুড়ে দিতে পারতে অভিমান
তুমি শহরের ভিড়ে হারিয়ে ফেলতে পারতে
তোমার জল ছলছল কাঁচের চুড়ি
উড়িয়ে দিতে পারতে তোমার শৈল্পিক চুলের বিনুনি

তুমিও সবার অলক্ষ্যে দেখা করতে পারতে
:
কঠিন চিবর দানে আর দুর্বোধ্য সঙ্গমে...

কি জানি, হয়ত তোমার জীবন যাপন সহজও হতে পারতো, অথবা পারতোনা -
মধুখালির চরে ছোট্ট কুটিরে কোন এক মন খারাপের দিনে
তুমি দিনশেষে জ্বালিয়ে রাখতে অন্ধকার, কিংবা রাখতে না -
সূর্যের নীল আলো ছড়িয়ে থাকতে পারতো
তোমার সারা উঠোন জুড়ে, কিংবা থাকতো না -

হয়তো এসবের কিছুই হতো না, যেমন হয়নি এখনো,
তেমনি কিছুই হতনা, কিছুই হতো না...





 মানুষ থেকে চাকা    







-মাহবুবা কামাল বিনু







বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে শহীদমিনারের সামনে এসে বসে থাকা
সকাল দশটার যাত্রা শেষ হয় সন্ধ্যে ছটায় ,
বাসে চড়ার স্থান মতিঝিল মাজার আর গন্তব্য শহীদমিনার
তারপর হাঁটার পথ পেরিয়ে কলেজ আমার
মাজার থেকে শহীদমিনার যেতে পঁয়ত্রিশ আসা পঁয়ত্রিশ
বাকি থাকতো ত্রিশ পয়সা !
বৃষ্টিতে ভেজা সেই দিন গুলোতে ওদের প্রেমের গল্প
আর এক কাপ চায়ের সাথে সিঙ্গারা শ্রেষ্ঠ খাবার মনে হতো
আমার কোন প্রেমের গল্প ছিলোনা তখন থেকেই , কারণ
আমি যে বিবাহিত তখন ; হাজার দায়িত্বের বোঝা কাঁধে,
বাড়ির বউদের প্রেম থাকতে নেই !
তাছাড়া বউ হওয়া মাত্র বয়স বেড়ে যায় লাফিয়ে লাফিয়ে
তখন আর মেয়ে বা কন্যা থাকা যায়না, এটাই নিয়ম
তারমধ্যে আবার পড়বার ,শিল্পকলায় হাঁটবার ইচ্ছে ;
সে বাড়ির সম বয়সী কন্যা কিন্তু বিয়ের পরেও মেয়েই থেকে যায়
শুধু মাত্র অন্যের মেয়ে বউ হয়ে আজব বস্তুতে পরিণত হয় ,
দিনে দিনে নিজের সুকুমার অনুভূতিদের গলা টিপে ধরে
নিজের হাতে নিজেকে তিল তিল করে নিজের মৃত্যু রচনা
কেউ জানেনা ,কেউ বোঝে না, কেউ বুঝতে চায়না
এভাবে বোঝানো যায়না সত্যি যায় না !

আঠারোতেই পঞ্চাশের দায়িত্বের বোঝায় সেই থেকে নুয়ে নুয়ে
পথ চলায় নিজস্ব চাওয়া গুলোকে ধরে রাখবার
ব্যাকুলতায় অনেক মাশুল দেয়া এই জীবন, ক্লান্ত জীবনের
দৈনন্দিন, সুগন্ধময় পথ গুলো হোঁচট আর হাঁটু ভাঙা
রাস্তায় উবু হয়ে পড়তে পড়তে বেঁচে থাকা
এক জোড়া চাকা মনে হতে থাকে নিজেকে



আমাকে ক্রমাগত ক্রুশ বিদ্ধ করে আমি 



-জহিরুল হক বাপি 





মাঝে মাঝে তারাদের সাথে কথা বলতে বলতেই
মেঘেদের আয়ুষ্কাল ফুরায়, বৃষ্টি ঝরে প্রাণবন্ত
কখনও কখনও চাঁদের সাথে কথা বলতে বলতেই
ঘুমিয়ে পড়ে তারারা, যারা মৃত বহু বছর আগেই
চারিদিকে ভীষণ সময় ভীষণ অন্ধকার
আমি তখন একলা ঘরে আমারে খুঁজে বেড়াই
ঘরের ভিতর চারটা দেওয়াল একই রং-এর
এক কোনে বেহালাটা নিজে নিজেই বেজে উঠে
যীশুকে তখন আমার ভীষণ হিংসে হয়
অজস্র মানুষের ঢল ছিল, ক্রুশ বিদ্ধ যীশুর পাশে
ইতিহাসে ইতিহাসে কেবল গৌরব চোখের জল
আমার চার দেওয়ালে একলা একা প্রতি রাতেই
আমি ক্রুশ বিদ্ধ হই, পাশে এসে বসে হয়ত
কখনও কখনও একটা পোকা খেকো টিকটিকি
আমায় চারটা আমি বা তারচে বেশী বানিয়ে
প্রতি রাতেই হয় ক্রুশ বিদ্ধ অনুষ্ঠান, নিয়ম দুরন্ত
যীশু কি ক্রুশ বিদ্ধ হয়েছিলেন প্রতি রাতে?
মেঘেরা শেষ করে আয়ুষ্কাল তার নীতিতে
তারারা মরে গেলেও ফিরে আসে,মুগ্ধ বিস্ময়
আমার কপাল বেয়ে নেমে পড়ে লবণাক্ত ঘাম
যীশুর যন্ত্রণা আমার চেয়ে বেশী ছিল কিনা জানিনা
প্রিয়তমা তুমি মেঘ বৃষ্টি হয়ে আমায় স্পর্শ কর
আমাকে ক্রমাগত ক্রুশ বিদ্ধ করে আমি।



 বিবস্ত্র মানচিত্র     




-এম আর ফারজানা







কাঁটাতারে ঝুলছে হাওয়ায় দুলছে,
এটা কি ফেলানীর লাশ,
না তোমার আমার !
নাকি লাশ ১৬ কোটি
বাংলার জনতার

লাশের শরীর থেকে দেখ
রক্ত ঝরছে টুপ টুপ,
কর প্রতিবাদ আওয়াজ
তোল মুক্ত কণ্ঠে
থেকো না আর চুপ।

অন্ধ অস্থির সময় চলছে
অদ্ভুত নিয়মের ঢেউয়ে
বিবস্ত্র আজ বাংলার মানচিত্র
কাঁটাতারের মধ্য দিয়ে...
রাজনৈতিকরা হচ্ছে কালের ফেরাউন
রাজনীতি করে স্বার্থের মারপ্যাঁচে
সুযোগ পেলে এরা
সোনার বাংলাকেও দেবে বেচে ...   


শ্যামপুরের ঝিলে  



-এস.আর.এফ খান




ধুলদির গেটে রেল এসে
দাঁড়াতেই হুড়মুড়
দলছুট মানুষের ভিড়,
এই রেলে করেই একদিন
শহরে চলে যাবে ?
সেলাই, সুতো, রিপুর জামায়
দিনগুলো কি আর ফিরে পাবে ?
উজ্জ্বল উচ্ছলে
কৈশোর ফেলে আসা
সংসার টানাপড়েনে আমার 'মা'!
ক্ষেতের আইল ধরে
জংলা, মাটি, ফসলের ঘ্রাণ,
'মা' আমার কোমল সুবুজে সুপ্ত
সে কি জানতো তখন ?
জানতো ? তিনিই আমার 'মা' হবেন ?

একগলা জলে ডুবে আছে
শাপলা শেকড়,
ঢ্যাপটা ছিঁড়ে আনলেই হবে ?
শকুন, শেয়াল
মরা গড়ুর ধার দিয়ে
'মা' আমার দৌড়ে চলে যেতো
শ্যামপুরের বিলে
অল্প জলে, হাতের আজলে
শিং, পুঁটি লাফিয়ে উঠতো তাতেই
আর যখন একটু ঝড়ে
'মা' আমার আম কুড়নের ছলে
দিক্বিদিক ছুটে বেড়াতো!
সে কি জানতো তখন ?
জানতো ? তিনিই আমার 'মা' হবেন ?



প্রতিবাদের একটা শব্দও লেখা হয় না আমার কবিতায়


-ফেরদৌস হাসান খান




অসম লড়াই আর বাদ-প্রতিবাদে,সুন্দর-অসুন্দরে, দিশাহারা হয়ে
আমি আজ প্রতিবাদ করতে শিখেছি অস্তিত্বের বিস্তারে।
আমি কোন কবি নই তবুও কবিতাকেই বেছে নিয়েছি
আমার প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে
করণ যতদিন প্রেম থাকবে, ততদিন কবিতা থাকবে।


অথচ প্রতিবাদের একটা শব্দও লেখা হয় না আমার কবিতায়।
আমার কবিতা পারেনা পুঁজিবাদী সমাজ ভাঙ্গতে,
ধনী দরিদ্রে সমতা আনতে, জনতাকে রাজ পথে নামাতে
মিথ্যা বুলি আওড়ানো রাজনৈতিকের গালে ঠাঁটিয়ে চড় বসিয়ে দিতে
প্রিয়ার মুখে এসিড নিক্ষেপকারীর প্রেমিকের শরীর থেকে চামড়া তুলে নিতে।
অথচ প্রতিবাদের একটা শব্দও লেখা হয় না আমার কবিতায়।
যে কবিতার জন্য কোন মা যাবেনা আর বৃদ্ধাশ্রমে
ধর্ষিত হবেনা আমার বোন
যৌতুকের আগুনে পুড়বে না কোন বধূর শরীর
তথাকথিত সুশীল সমাজ মরণ কামড় বসাবেনা সমাজের বুকে।

অথচ প্রতিবাদের একটা শব্দও লেখা হয় না আমার কবিতায়।
যে কবিতার জন্য শাসকের মসনদ কাঁপে উঠবে
সত্য ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য।
যে কবিতার জন্য জনতা বিদ্রোহ করবে
সমাজ ভেঙ্গে সমাজ গড়তো
আমার মত -কবিও কারারুদ্ধ হবে।

অথচ প্রতিবাদের একটা শব্দও লেখা হয় না আমার কবিতায়........




গূরু দক্ষিনা 

(উৎসর্গঃ কবি গুরুকে )






-ইমেল নাঈম



আমি হতে চাই না
শেষের কবিতার প্রেমিক পুরুষ,
চাই না দেখতে এভাবে
মরে মরে বেঁচে থাকার গল্প।
স্বল্প জ্ঞান কিন্তু অসীমতা,
বুঝতে গিয়ে তোমায়
ফিরে আসি নিয়ে ব্যর্থতা।
কবিতার জ্যোস্নার স্নানঘর আমার,
গড়ে তুলি আপন নিবাস-
আত্মাকে সুদ্ধ করারই অপপ্রয়াস।
তুমি কবি সৃষ্টিতে অবিনশ্বর,
আমি ভক্ত তোমায় বুঝতে
গিয়ে মেনেছি যে পরাজয়।

যখন মন খারাপের গহীন
সাগরের মাঝে ডুবে গেছি,
তখনই তোমার সৃষ্টি আঁকড়ে
ধরে আলোর পথ খুঁজে গেছি।
হয়তো আমারই অপারগতায়
পারিনি করতে মর্ম উদ্ধার,
মনের মাঝে ছোট্ট অনুনাদ
যদি জন্মাতাম প্রাচীন সময়ে
গুরু দক্ষিণা নিতাম তোমার কাছে