১৮ তম সংখ্যায় আছে মোট চৌদ্দটি কবিতা,লিখেছেন-রেজা রহমান,অমিতাভ দাশ,ফারহানা খানম,কচি
রেজা,চৌধুরী ফাহাদ,অর্পিতা,সৌমিত্র ঘোষ,সৈয়দ
সাইফুর
রহমান
সাকিব,সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী,রবি,সুমিত রঞ্জন
দাস,রুদ্রনীল রায়চৌধুরী,অনন্যা দেব এবং ফেরদৌস হাসান
খান ।
লেলিহান শ্যামলছায়ারা

রেজা রহমান
কত কি যে ঘ’টে গেল এইখানে এই অন্ধকারে
এক শুধু আমাকেই দেখতে হ’লো
মানুষ কি-পারে কি-না-পারে!
একটা শিশু ম’রে গেল অকালে আকালে
একটা পাখি পুড়ে ছাই পা রেখে আগুনের ডালে
নদীরা শুকিয়ে কাঠ একে একে আশ্বিনের কাঠফাটা রোদে
অসুর দখল নিলে সোনার সরোদে
একবুক ভালোবাসা কাগজের ঠোঙামাত্র ঠাঁই নিলে মুদির দোকানে
নবান্নের ঋতু চিতাবহ্নিমান গোলায় খামারে চিটাধানে
লেলিহান শ্যামল ছায়ারা
এক একটি স্বপ্ন ভাঙে ঝরে যায় এক একটি তারা।
চোখ বুজতে হ’লো তাকে একটুকরো মেঘ না দেখেই
শান্তিতে ঘুমোবে যে মাটিটুকু নেই
যা কিছু দেখেছে সে যা কিছু দেখেনি
প’ড়ে রইল কাদামাটিজলে
সেই ছিল মানুষের আরও এক বিপর্যয় এই পূর্বাচলে।
মানুষ তোমরা যদি একটুও ভালোই না হবে
ঘটা ক’রে কেন ডেকে এনেছিলে তবে?
একটু ঘুমোতে দাও আর কিছু চাইনে তো আর
ঘুমের বদলে আমি আমার যা কিছু আছে
আউলবাউলদুঃখদারিদ্র্য অশেষ
তোমাকেই দিতে চাই—তুমি'না আমার অন্ধকার!
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
আশ্চর্য সহজ যান......... তিসতা সিরিজ (47)
অমিতাভ
দাশ
.
অন্যমনা ঝরা-বর্ষা আকাশে আকাশে ছন্নছাড়া মেঘ অনাবিল
মুগ্ধ শরীর-মুগ্ধ বন্য হরিণী !! বালিয়াড়ি ঝলমল তখনো, ভার ভার
মন্থর আবেশে আবেশে! কৃষ্ণচূড়া ভাঁজে ভাঁজে বৃষ্টিবিন্দু নীল !!
ছমছমে মাঠ ভরে ওঠে ভরে ওঠে ... ছন্দময় অপার বিস্তার!
চোখের তারায় আর্তি - ধানক্ষেত কাশবন সরিয়ে সরিয়ে মুগ্ধতায়
ঘরে ফেরা কার... ফেরা নিজস্ব শব্দে নিঃশব্দে ... নগ্ন মহোৎসবে।
অজস্র ঢেউয়ে সফেন সফেন গাংচিল ওড়ে! শিহরণ ছড়িয়ে ছড়িয়ে
উদ্দাম চিল-ডাকে ওড়ে স্বাধীন স্বাধীন আর দেখে কিরকম নিরিবিলি
পাতাঝরা অরণ্যে অরণ্যে... বৃষ্টি-জাগা সাড়া ... পাতাখসানোর, দেয়
শরীর শরীরেরা কোমল থেকে কোমলতম...কোমলতায়! সারি দেওয়া
সারি দেওয়া পাহাড়, দিগন্তরেখায় মেলা জল, একফালি আনন্দ আয়না..
দেখে অমোঘ উত্থান ও অভ্যুদয় রাতজাগা শিশির মেশান বর্ষণে বর্ষণে
আর অনায়াসে কি অনায়াসেই যে স্বর্গ নাবে... স্বর্গ নাবে মাটির উঠানে --
ঝুরি নামা শিকড়ে শিকড়ে আশ্চর্য মেদুর -- আশ্চর্য মেদুর সহজ যানে !
অন্যমনা ঝরা-বর্ষা আকাশে আকাশে ছন্নছাড়া মেঘ অনাবিল
মুগ্ধ শরীর-মুগ্ধ বন্য হরিণী !! বালিয়াড়ি ঝলমল তখনো, ভার ভার
মন্থর আবেশে আবেশে! কৃষ্ণচূড়া ভাঁজে ভাঁজে বৃষ্টিবিন্দু নীল !!
ছমছমে মাঠ ভরে ওঠে ভরে ওঠে ... ছন্দময় অপার বিস্তার!
চোখের তারায় আর্তি - ধানক্ষেত কাশবন সরিয়ে সরিয়ে মুগ্ধতায়
ঘরে ফেরা কার... ফেরা নিজস্ব শব্দে নিঃশব্দে ... নগ্ন মহোৎসবে।
অজস্র ঢেউয়ে সফেন সফেন গাংচিল ওড়ে! শিহরণ ছড়িয়ে ছড়িয়ে
উদ্দাম চিল-ডাকে ওড়ে স্বাধীন স্বাধীন আর দেখে কিরকম নিরিবিলি
পাতাঝরা অরণ্যে অরণ্যে... বৃষ্টি-জাগা সাড়া ... পাতাখসানোর, দেয়
শরীর শরীরেরা কোমল থেকে কোমলতম...কোমলতায়! সারি দেওয়া
সারি দেওয়া পাহাড়, দিগন্তরেখায় মেলা জল, একফালি আনন্দ আয়না..
দেখে অমোঘ উত্থান ও অভ্যুদয় রাতজাগা শিশির মেশান বর্ষণে বর্ষণে
আর অনায়াসে কি অনায়াসেই যে স্বর্গ নাবে... স্বর্গ নাবে মাটির উঠানে --
ঝুরি নামা শিকড়ে শিকড়ে আশ্চর্য মেদুর -- আশ্চর্য মেদুর সহজ যানে !
মেঘ দুপুরে
ফারহানা খানম
এক জীবনের কত স্বপ্ন
অধরাই থেকে যায়! শুধু অবগাহন
ইচ্ছের দুরন্ত নদীতে।
কতটা পথ পথের সঙ্গী হওয়া যায় !
যদি সাথে যেতে চাই একটা জীবন ?
সোনালী রোদ্দুরে শঙ্খ চিলের ডানায় আঁকা
স্বপ্নেরা অলীক ,ইচ্ছেরা
অপূর্ণ অশেষ ...।
তবুও আকাঙ্ক্ষার বন্যা নিভৃত মনে
সুবর্ণ স্বপ্ন চাই,
ইচ্ছেরা আসুক সত্যি হয়ে
অপার আনন্দ ভাসুক এই মনোভূমি...।
কোন ছায়া ছায়া মেঘ দুপুরে
যখন মন খারাপের
বৃষ্টি নামে
তখন
জলের ওড়নায় বিজলি-চকিতে
কিছু স্বপ্ন এনো তুমি
আর
দুচোখে কান্নার
অজস্রতায় কিছু আনন্দ দিও।
এক জীবনের কত স্বপ্ন
অধরাই থেকে যায়! শুধু অবগাহন
ইচ্ছের দুরন্ত নদীতে।
কতটা পথ পথের সঙ্গী হওয়া যায় !
যদি সাথে যেতে চাই একটা জীবন ?
সোনালী রোদ্দুরে শঙ্খ চিলের ডানায় আঁকা
স্বপ্নেরা অলীক ,ইচ্ছেরা
অপূর্ণ অশেষ ...।
তবুও আকাঙ্ক্ষার বন্যা নিভৃত মনে
সুবর্ণ স্বপ্ন চাই,
ইচ্ছেরা আসুক সত্যি হয়ে
অপার আনন্দ ভাসুক এই মনোভূমি...।
কোন ছায়া ছায়া মেঘ দুপুরে
যখন মন খারাপের
বৃষ্টি নামে
তখন
জলের ওড়নায় বিজলি-চকিতে
কিছু স্বপ্ন এনো তুমি
আর
দুচোখে কান্নার
অজস্রতায় কিছু আনন্দ দিও।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
সাদা য়ুনিফর্ম
কচি
রেজা
সাদা য়ুনিফর্ম হয়ে তুমি আমার কাছে আসো
কিছু উৎপন্ন ডিম রেখেছি দেখ হারমোনিয়ামের রিডে
২
পরীক্ষা করো আমাকে চোখদুটিতে কেন উভলিঙ্গ পোকা
পাগলের জননকোষ বলে আমি ও কি নিরপেক্ষ মৃগী রোগী
৩
একসাথে নেচেছি জোড়া লেগে গেছে বুকের কবুতর
তুমি চলে গেলে সাদা কাগজে ও আরেকটি তুমি
৪
কান্না দেখে চশমাও ভিজেছিল খুব
বাইবেল না কি সংক্রামক প্রাচ্যদেশি এই অহংকার
তোমাকে নয় নিজেকে উপভোগ করার জন্য ই
বিকিনি খুলতে দিয়েছি সুস্বাদু হরিণকে
৫
কাঁটাচামচে বৈশিষ্ট্য কেটে খাচ্ছে ঘনিষ্ঠতা
পাতলা কাচের শব্দে জোড়া ঠোঁট কেটে যায়
৬
তোমাকে চুম্বন করে যে জীবাণু পান করি
তুমি তার রাখো নি সন্ধান
৭
আমিও মেটাল কয়েন খুঁজে বেড়াচ্ছি সি-বিচে
নিঃসঙ্গতা চায় না কেউ তার সমকক্ষ হোক
ডিটেক্টর সংকেত দিলে পেশীহীন শামুকের
সংগমদৃশ্য উঠে আসে
৮
ভীত ভেবো না, এমন আগ্রাসী যে,
ক্রাউন প্রিন্স নয়
বরং শয্যার শান্ত বালিশ উত্যক্ত করুক আমার চুল
৯
তালা বড়ো হলে পরিস্থিতি নেতিবাচক হয়
আমি দেহকে চাবি বানিয়ে জেনারেশনপন্থী রেখেছি
১০
কোথাও গেলে দেহ রেখে যাই
কেউ ষ্ট্রাকচারের প্রশংসা করে যখন
দুজন ইঞ্জিনিয়ারের নাম বলি
সাদা য়ুনিফর্ম হয়ে তুমি আমার কাছে আসো
কিছু উৎপন্ন ডিম রেখেছি দেখ হারমোনিয়ামের রিডে
২
পরীক্ষা করো আমাকে চোখদুটিতে কেন উভলিঙ্গ পোকা
পাগলের জননকোষ বলে আমি ও কি নিরপেক্ষ মৃগী রোগী
৩
একসাথে নেচেছি জোড়া লেগে গেছে বুকের কবুতর
তুমি চলে গেলে সাদা কাগজে ও আরেকটি তুমি
৪
কান্না দেখে চশমাও ভিজেছিল খুব
বাইবেল না কি সংক্রামক প্রাচ্যদেশি এই অহংকার
তোমাকে নয় নিজেকে উপভোগ করার জন্য ই
বিকিনি খুলতে দিয়েছি সুস্বাদু হরিণকে
৫
কাঁটাচামচে বৈশিষ্ট্য কেটে খাচ্ছে ঘনিষ্ঠতা
পাতলা কাচের শব্দে জোড়া ঠোঁট কেটে যায়
৬
তোমাকে চুম্বন করে যে জীবাণু পান করি
তুমি তার রাখো নি সন্ধান
৭
আমিও মেটাল কয়েন খুঁজে বেড়াচ্ছি সি-বিচে
নিঃসঙ্গতা চায় না কেউ তার সমকক্ষ হোক
ডিটেক্টর সংকেত দিলে পেশীহীন শামুকের
সংগমদৃশ্য উঠে আসে
৮
ভীত ভেবো না, এমন আগ্রাসী যে,
ক্রাউন প্রিন্স নয়
বরং শয্যার শান্ত বালিশ উত্যক্ত করুক আমার চুল
৯
তালা বড়ো হলে পরিস্থিতি নেতিবাচক হয়
আমি দেহকে চাবি বানিয়ে জেনারেশনপন্থী রেখেছি
১০
কোথাও গেলে দেহ রেখে যাই
কেউ ষ্ট্রাকচারের প্রশংসা করে যখন
দুজন ইঞ্জিনিয়ারের নাম বলি
চৌধুরী ফাহাদ
জন্মকে ব্যাখ্যা করতে পারো
পৌরুষের অনলে ডিম্বের বিজারণ,
বলতে পারো আদিমতম রসায়নের
নৈমিত্তিক আকর্ষণ।
পারো ব্যাখ্যা করতে জন্ম'কে
পার্থিব প্রয়োজনে প্রণয় চাষাবাদ,
ত্রিরত্নের সন্ধানে উর্বরা জমির গহীনে
মাতালের ভ্রমণের স্মারকচিহ্ন।
যদি জন্মের স্বকীয়তা হয় স্বাভাবিক,
তবে মৃত্যুর অমোঘ বিভাজন
কীভাবে ব্যাখ্যা করবে
জড় বিশ্বাসী মন?
কীভাবে তফাৎ আঁকবে পচে গলে যাওয়া
দেহের নগ্ন হাড়, কিংবা;
খাঁচার গভীরে হাজার বছর ধরে
দোটানা শুভ্র চাদরের বিছানায় আজও অক্ষত
ঘুমন্ত মুখ!
ব্যাখ্যা করবে কীভাবে সাদা-কালোর ধাঁধায়
তরলের তারতম্য?
যদি দিতে পারো শুদ্ধতম অবস্থান,
তবে মেনে নেবো অনায়াস হবে
বিবর্তন আবাদ,
স্বাভাবিক গতিময়তায় ধাবমান অবস্থান
শেষাংশের অংশে,
আক্ষরিক নিয়ন্ত্রণহীন।
অনায়াস জানবে মন,
সৃষ্টির আড়ালে সৃজনশূন্যতা বিদ্যমান।
জন্মকে ব্যাখ্যা করতে পারো
পৌরুষের অনলে ডিম্বের বিজারণ,
বলতে পারো আদিমতম রসায়নের
নৈমিত্তিক আকর্ষণ।
পারো ব্যাখ্যা করতে জন্ম'কে
পার্থিব প্রয়োজনে প্রণয় চাষাবাদ,
ত্রিরত্নের সন্ধানে উর্বরা জমির গহীনে
মাতালের ভ্রমণের স্মারকচিহ্ন।
যদি জন্মের স্বকীয়তা হয় স্বাভাবিক,
তবে মৃত্যুর অমোঘ বিভাজন
কীভাবে ব্যাখ্যা করবে
জড় বিশ্বাসী মন?
কীভাবে তফাৎ আঁকবে পচে গলে যাওয়া
দেহের নগ্ন হাড়, কিংবা;
খাঁচার গভীরে হাজার বছর ধরে
দোটানা শুভ্র চাদরের বিছানায় আজও অক্ষত
ঘুমন্ত মুখ!
ব্যাখ্যা করবে কীভাবে সাদা-কালোর ধাঁধায়
তরলের তারতম্য?
যদি দিতে পারো শুদ্ধতম অবস্থান,
তবে মেনে নেবো অনায়াস হবে
বিবর্তন আবাদ,
স্বাভাবিক গতিময়তায় ধাবমান অবস্থান
শেষাংশের অংশে,
আক্ষরিক নিয়ন্ত্রণহীন।
অনায়াস জানবে মন,
সৃষ্টির আড়ালে সৃজনশূন্যতা বিদ্যমান।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
রঙ
অর্পিতা
আবির রঙে রাঙিয়েছি তোমার মন
শিউলি রঙে ছাপিয়ে নিও বসনখানি তোমার
সাগরের নীল দুচোখে এঁকেছি ।
শ্বেত করবীর গুচ্ছ কবরীতে বেঁধেছি তোমার ,
মাতাল চৈতি হাওয়ায় দেখা তোমার সাথে
চৈত্র রাতের তারাভরা আকাশে --
আজ তোমারি ছবি আঁকা ।
বৈশাখের এই তপ্ত বেলায়
আমি কত একা ,
এতো রঙ দিলাম তোমারি ছবিতে ছড়িয়ে
কতশত রঙের অনুলেপ দিয়েছি তোমারি তনুতে বারবার
অনুরঞ্জিত হয়েও ---
ফিরলে না ,
তুললে না কোনই অনুরণন হৃদয়ে আমার ।
আবির রঙে রাঙিয়েছি তোমার মন
শিউলি রঙে ছাপিয়ে নিও বসনখানি তোমার
সাগরের নীল দুচোখে এঁকেছি ।
শ্বেত করবীর গুচ্ছ কবরীতে বেঁধেছি তোমার ,
মাতাল চৈতি হাওয়ায় দেখা তোমার সাথে
চৈত্র রাতের তারাভরা আকাশে --
আজ তোমারি ছবি আঁকা ।
বৈশাখের এই তপ্ত বেলায়
আমি কত একা ,
এতো রঙ দিলাম তোমারি ছবিতে ছড়িয়ে
কতশত রঙের অনুলেপ দিয়েছি তোমারি তনুতে বারবার
অনুরঞ্জিত হয়েও ---
ফিরলে না ,
তুললে না কোনই অনুরণন হৃদয়ে আমার ।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
বারবধূ
সৌমিত্র ঘোষ
ওরা ফেরেনি ।
মায়ের কোল ছেড়ে সেই যে গেছে,
ওরা ফেরেনি ।
আলো চুরি করতে গেছিলো অন্ধকারে ।
স্বপ্ন চুরি করতে নেমেছিল অন্ধকূপে ।
ওরা ফেরেনি ।
চেয়েছিল রঙবেরঙের আলোকরত্ন
জড়ো করে ধূসর সাজাতে ।
ওরা পারেনি ।
নিজেদের নিংড়ে দিয়েছে কামনার কাছে ।
পুড়ে গেছে তিলে তিলে বহ্নিতে ।
পায়নি সোহাগের বিন্দু,
পায়নি হতে নীলাঞ্জনা ।
ওরা আজও খোঁজে আলোকবিন্দু ,
অন্ধকার সরাতে ।
ওরা পারেনি ।ওরা ফেরেনি ।
ওরা হয়নি বধূ ওরা শুধু বারবধূ ।
অন্ধগলির বারবধূ ।
ওরা ফেরেনি ।
ওরা আর ফিরবেনা
নিয়ে আলোকবিন্দু ।
জাদুকর
সৈয়দ
সাইফুর
রহমান
সাকিব
প্রতিরাতে উদ্যমতার কীটেরা হরণ করছে সক্ষমতা। পয়মন্ত বিকিকিনি শেষে ঘষে ক্ষয় করা অধরে পুনরাবৃত্ত বিশ্লেষণে দক্ষতা অপরিহার্য। তাই যথা চূর্ণের পরও নটির হাসিতে সক্রিয় বিজ্ঞাপনের সন্ধ্যাতারা। কানায় কানায় ভরা বন্দরে খদ্দেরের মাঝে একি আচমকা উদ্বাস্তু নাগর! একেবারে প্রেমে পড়ে গেল! আত্মগোপনের প্রয়োজন নেই। কাছে ডেকে হিং টিং ছট্ ভুলে যাও। অন্যমনস্ক, অনুপস্থিত মনে শোনে নাই কথা। দুই চোখে শুধু বিভোরতা। সাইরেন বেজে ওঠে মালবাহী জাহাজে। ভিড়ছে, ভিড়বেই আর প্রতিস্বাদে মাতাল চাটবে উনুনের শিক। এত ব্যস্ততা সে কারণেই। হটাৎ মনে হয় সব বাতুলতা নাকি জীবিকা। জীবন নির্বাহের দরদাম হতে পারে শুধু দুমুঠো অন্ন গ্রহণ? গ্রহণের এই অযাচিত প্রেম অপরিচিত। তৃপ্তির অধোবাসে শুধু ভোগ। নিজেকে ভোগানো দুঃখের মাদুরে শুয়ে অনাপত্তির মানুষ খুঁজে যাওয়া। সক্রিয় বিজ্ঞাপনের সন্ধ্যাতারা। কানায় কানায় ভরা বন্দরে খদ্দেরের মাঝে আচমকা উদ্বাস্তু নাগর পেশীজোরে টেনে নেয় অন্ধকারে। বুকে পিষে মারে। কি চাস? তীব্রতা চাই। হিং টিং ছট্ ভুলে যাও। মালঘাটার জংলিটা এবার ওষ্ঠের তাবুতে জ্বালায় হ্যাজাক। অঙ্গে আগুন, স্বপ্নে ভোরের শুকতারা, তুলসীতলা আর কটা বেলপাতা। শাঁখের মিষ্টতা না না এটা সাইরেন, সরে যাও হিং টিং ছট্ ভুলে যাও। চোখ বেয়ে নামে জল। প্রহসনে শোকও হয়েছে নষ্ট। প্রশ্রয়প্রবণে আর জাগিও না বিস্ময়। কি হবে নিয়ে ঢেউয়ে ভাসা ভাঙ্গা কাঠ! নাগরের বুকে সমুদ্র সবল। প্রাচুর্যে ব্যর্থতা জানা নাই। দুঃখের মাদুরে শুয়ে অনাপত্তির মানুষ। পেশীজোরে টেনে নেয় অন্ধকারে। বুকে পিষে মারে। হিং টিং ছট্ জাদুকর অমিত আদরে এনে দেয় ভোরের শুকতারা, তুলসীতলা আর কটা বেলপাতা।
প্রতিরাতে উদ্যমতার কীটেরা হরণ করছে সক্ষমতা। পয়মন্ত বিকিকিনি শেষে ঘষে ক্ষয় করা অধরে পুনরাবৃত্ত বিশ্লেষণে দক্ষতা অপরিহার্য। তাই যথা চূর্ণের পরও নটির হাসিতে সক্রিয় বিজ্ঞাপনের সন্ধ্যাতারা। কানায় কানায় ভরা বন্দরে খদ্দেরের মাঝে একি আচমকা উদ্বাস্তু নাগর! একেবারে প্রেমে পড়ে গেল! আত্মগোপনের প্রয়োজন নেই। কাছে ডেকে হিং টিং ছট্ ভুলে যাও। অন্যমনস্ক, অনুপস্থিত মনে শোনে নাই কথা। দুই চোখে শুধু বিভোরতা। সাইরেন বেজে ওঠে মালবাহী জাহাজে। ভিড়ছে, ভিড়বেই আর প্রতিস্বাদে মাতাল চাটবে উনুনের শিক। এত ব্যস্ততা সে কারণেই। হটাৎ মনে হয় সব বাতুলতা নাকি জীবিকা। জীবন নির্বাহের দরদাম হতে পারে শুধু দুমুঠো অন্ন গ্রহণ? গ্রহণের এই অযাচিত প্রেম অপরিচিত। তৃপ্তির অধোবাসে শুধু ভোগ। নিজেকে ভোগানো দুঃখের মাদুরে শুয়ে অনাপত্তির মানুষ খুঁজে যাওয়া। সক্রিয় বিজ্ঞাপনের সন্ধ্যাতারা। কানায় কানায় ভরা বন্দরে খদ্দেরের মাঝে আচমকা উদ্বাস্তু নাগর পেশীজোরে টেনে নেয় অন্ধকারে। বুকে পিষে মারে। কি চাস? তীব্রতা চাই। হিং টিং ছট্ ভুলে যাও। মালঘাটার জংলিটা এবার ওষ্ঠের তাবুতে জ্বালায় হ্যাজাক। অঙ্গে আগুন, স্বপ্নে ভোরের শুকতারা, তুলসীতলা আর কটা বেলপাতা। শাঁখের মিষ্টতা না না এটা সাইরেন, সরে যাও হিং টিং ছট্ ভুলে যাও। চোখ বেয়ে নামে জল। প্রহসনে শোকও হয়েছে নষ্ট। প্রশ্রয়প্রবণে আর জাগিও না বিস্ময়। কি হবে নিয়ে ঢেউয়ে ভাসা ভাঙ্গা কাঠ! নাগরের বুকে সমুদ্র সবল। প্রাচুর্যে ব্যর্থতা জানা নাই। দুঃখের মাদুরে শুয়ে অনাপত্তির মানুষ। পেশীজোরে টেনে নেয় অন্ধকারে। বুকে পিষে মারে। হিং টিং ছট্ জাদুকর অমিত আদরে এনে দেয় ভোরের শুকতারা, তুলসীতলা আর কটা বেলপাতা।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
ঘুম আসে তবু
সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী
বেঘোরে ঘুম আসে
অজয়ের শুকনো চর বিদ্ধ করে ছলাৎ
রক্ত উছলে মূহুর্তে ভেজায় সাদা বালি।
ঘুম আসে-
ঘুম আসে মৃত্যুর ওষ্ঠ চুম্বনে,
পড়ন্ত বেলায়
ভায়োলেট মেঘ দর্শনে,
ঘুম আসে
এসে যায় কাপুরুষের বিষ দংশনে।
কালনেমি পৌত্রদের সোহাগচিহ্ন
চিরে যায় তলপেট
ছিন্ন যকৃত হাতের তালুতে ভাসে
মৌন আক্রোশে।
ঘুম আসে,
অকাল বিয়োজনে হাসে খলখল
প্রেতাত্মা নিঃশব্দচারী।
কত কাজই রয়ে গেল
কত কাজই হয়নিকো শেষ,
তবু বেশ
জানা আছে শত কাঁধ মিলবেই
অভিমন্যুর পরিত্যক্ত শূন্যস্থানে।
ঘুম আসে
স্বপ্নময় ঘাসে
উড়ে যায় পায়রা ধবল
মানববিদ্বেষীর প্রতি
উচ্ছৃত ঘৃণায়।
বেঘোরে ঘুম আসে
অজয়ের শুকনো চর বিদ্ধ করে ছলাৎ
রক্ত উছলে মূহুর্তে ভেজায় সাদা বালি।
ঘুম আসে-
ঘুম আসে মৃত্যুর ওষ্ঠ চুম্বনে,
পড়ন্ত বেলায়
ভায়োলেট মেঘ দর্শনে,
ঘুম আসে
এসে যায় কাপুরুষের বিষ দংশনে।
কালনেমি পৌত্রদের সোহাগচিহ্ন
চিরে যায় তলপেট
ছিন্ন যকৃত হাতের তালুতে ভাসে
মৌন আক্রোশে।
ঘুম আসে,
অকাল বিয়োজনে হাসে খলখল
প্রেতাত্মা নিঃশব্দচারী।
কত কাজই রয়ে গেল
কত কাজই হয়নিকো শেষ,
তবু বেশ
জানা আছে শত কাঁধ মিলবেই
অভিমন্যুর পরিত্যক্ত শূন্যস্থানে।
ঘুম আসে
স্বপ্নময় ঘাসে
উড়ে যায় পায়রা ধবল
মানববিদ্বেষীর প্রতি
উচ্ছৃত ঘৃণায়।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
ছাইরা গেলি
রবি
মা ভাত দে , তর কাছে ভাত চাইলেই
তুই খালি কিচ্ছা হুনাস
এই সকাল বেলা কি কেউ কিচ্ছা হুনে !
তরে যহন রাইতে কই কিচ্ছা হুনাইতে কই তুই তহন
ঘুম পাড়ানির গান হুনাইয়া ঘুম পাতাস ,
তহন আমি দুই হাত দিয়া পেটের মইধ্যে চাপ মাইরা
ঘুমাইয়া পরি ।
মা ভাত দে , আমার আর ভাল লাগেনা ।
মা আমার পেটের মইধ্যে মনে হয় কাঁকড়া আছে
নাইলে ভাত খাইলে গড় গড়াইয়া
ভাত নাই হয় কেমনে ?
কাঁকড়াডা মনে হয়
গলা থাইকা বেবাগ ভাত পেটের মইধ্যে টাইনা লইয়া যায় গা ।
যেন কাঁকড়া বেটা আমার মতো কত দিনের উপাসি
অই মা ভাত দে আর পারুম না ।
-চুপ কর বাবা
না মা, আমি আর চুপ কইরা থাকুম না
জন্ম দিবার সময় মনে আছিল না
হেই কালে জন্ম দিলাকে ?
-বাবারে আমার এই কিচ্ছাটা হুন;
একটা কিচ্ছা ,
জন্ম কি আর আমি একলা দিছি বাপ
আমার রক্তের সাথে তুর বাপের রক্ত মিল্লা মিশা হইছোস ।
এক রাজা বিয়ার প্রথম রাইতে ভালবাসার বীচ বুনাই
পরের দিন আহি কইয়া হেই যে চইল্যা গেল আর আইলনা
রাণীর পেটের মইধ্যে বীজ থাইকা
আস্তে আস্তে গাছ অইল,
তুই আর কি বুঝবি বাবা
রানী কতো ঝড়ের মইধ্যেও গাছটারে বাঁচাইয়া রাখছে
কারণ হেই গাছ রানীর ভালবাসার গাছ আছিল;
পাপের গাছ আছিল না ।
মা রাখ তর কিচ্ছা
আমি গেলাম
-কই যাইবি বাবা তয় কি তুইও আমারে ছাইরা ।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
সুচেতনা-৯
সুমিত
রঞ্জন
দাস
সুচেতনা আর আমি
ছিলাম প্রেমনদীর ধারে
জলের জোছনায় চাঁদ ছিঁড়ে যায়
সুচেতনার মুখটাও,
আমি শুধু বসে বসে
মন থেকে ভেসে আসা
কাগুজে লেবুপাতার গন্ধ শুঁকি,
ক্লান্ত হয়ে কখনো হেলে পড়ি তোমার ছায়ায়
যেমন হেলে পড়ে গাছেরা
একে অপরের তরে,
তুমি গান গাও - "আমার পরান যাহা চায় ..."
ভুলে যাই সব ব্যাথা
বন্দী করি তোমায় শব্দজালে;
জোনাকের আলোকবর্তিকা তোমায় বরণ করে
শাল-পিয়ালের জঙ্গলে দ্রিমিতাক মাদল
আর অন্ধকার তখন তোমায় ঘিরে নাচে
বন্য উন্মাদ হয়ে ওঠো তুমি,
হঠাৎ তোমার ছায়াগুলো ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে
পূব আকাশে শুরু হয় আগুন খেলা
তুমি পাল্টে যাও হারিয়ে যাও
চিনতে পারো না ...
স্বপ্নবিলাসের খেলা সাঙ্গ হয়
কথাঝোলা গুটিয়ে আমি উঠে পড়ি
আবার সুচেতনার খোঁজে।
সুচেতনা আর আমি
ছিলাম প্রেমনদীর ধারে
জলের জোছনায় চাঁদ ছিঁড়ে যায়
সুচেতনার মুখটাও,
আমি শুধু বসে বসে
মন থেকে ভেসে আসা
কাগুজে লেবুপাতার গন্ধ শুঁকি,
ক্লান্ত হয়ে কখনো হেলে পড়ি তোমার ছায়ায়
যেমন হেলে পড়ে গাছেরা
একে অপরের তরে,
তুমি গান গাও - "আমার পরান যাহা চায় ..."
ভুলে যাই সব ব্যাথা
বন্দী করি তোমায় শব্দজালে;
জোনাকের আলোকবর্তিকা তোমায় বরণ করে
শাল-পিয়ালের জঙ্গলে দ্রিমিতাক মাদল
আর অন্ধকার তখন তোমায় ঘিরে নাচে
বন্য উন্মাদ হয়ে ওঠো তুমি,
হঠাৎ তোমার ছায়াগুলো ফ্যাকাসে হয়ে ওঠে
পূব আকাশে শুরু হয় আগুন খেলা
তুমি পাল্টে যাও হারিয়ে যাও
চিনতে পারো না ...
স্বপ্নবিলাসের খেলা সাঙ্গ হয়
কথাঝোলা গুটিয়ে আমি উঠে পড়ি
আবার সুচেতনার খোঁজে।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
অন্তঃদহতা
নৈস্বর্গিক সুখ লাভের প্রাপ্তিতা-
আমায় টানে না !
বিবর্ণ ভাবধারা-
গচ্ছিত রয়ে যায় সময়ের ফেরে,
কালক্ষেপন করে-
যতোটা বন্ধ্যাত্বহরণের চেষ্টায় রত,
রূপবিন্যাসের জৌলুসতা
অকৃপণ প্রশংসায় নিবেদিত করে-
সান্ত্বনা বিলাসী অবাধ্যতার।
ঘুমঘোরে আবছা প্রতিচ্ছবি-
ললাটে এঁকে দেয় চুম্বন রশ্মি,
জ্বালাময়ী অস্পৃশ্যতার-
নন্দিত কানন আঁতকে ওঠে,
বীভৎস যন্ত্রণায় ছটফটায়
অন্তঃগভীরতার হৃদপ্রাঙ্গন !!
কষ্টের তিলক ঝেড়ে ফেলে-
প্রসারিত বাহু হয় উন্মোচিত,
দলিল মথিত করে জানান দেয়,
হেরে যাইনি আমি।
বিভীষিকাময় বিমূর্ত রজনী-
লেপে আছে অনলে,
জরাজীর্নতার ভূ-স্বামী
থমকে যায়নি !
শীরে বেঁধেছে রক্তনিশান,
ধ্বনিতে গেঁথেছে যৌবনের গান,
বৈঠক দিয়েছে জলাঞ্জলি,
লক্ষ্য রেখেছে অটুট;
পরাজিত হতে শেখেনি;
বিজয় কেতন ওড়াবেই ওড়াবে।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
জীবন
অনন্যা
দেব
সীমাহীন সমুদ্রে সন্তরণ ,
রোদ্দুরে বৃষ্টিতে অবগাহন ,
শীতের দুপুরের শুষ্কতা ,
রাতে আগুনের উষ্ণতা ,
জীবনের অনুরণন ।
আকাশের নীলে ভেসে যাওয়া চিলে
মৃত্যুর হাসি জীবনের কোলে,
স্বপ্নর স্মৃতিতে ভ্রমণ।
পৃথিবীর কোলে সময়ের ভুলে
তবু হাসে ভালোবাসা চিরন্তন ।
কান্নার নদী বয় নিরবধি
যেমন বয়ে চলে জীবন ।
সীমাহীন সমুদ্রে সন্তরণ ,
রোদ্দুরে বৃষ্টিতে অবগাহন ,
শীতের দুপুরের শুষ্কতা ,
রাতে আগুনের উষ্ণতা ,
জীবনের অনুরণন ।
আকাশের নীলে ভেসে যাওয়া চিলে
মৃত্যুর হাসি জীবনের কোলে,
স্বপ্নর স্মৃতিতে ভ্রমণ।
পৃথিবীর কোলে সময়ের ভুলে
তবু হাসে ভালোবাসা চিরন্তন ।
কান্নার নদী বয় নিরবধি
যেমন বয়ে চলে জীবন ।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান
আশ্রু
ও শিশিরের পার্থক্য
ফেরদৌস হাসান খান
তুমি আশ্রু ও শিশিরের পার্থক্য বুঝতে ভুল করেছিলে
আমার বুকে জমানো সমস্ত শিশির যখন
তোমারই জন্য দু'চোখের আশ্রুবিন্দু হয়ে উঠেছিল
তুমি তখন ভালোবাসার নাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলে।।
কত স্বপ্ন পড়ে আছে সময়ের লাটাইয়ের জীর্ণ সুতোয় ,
জীবন মাঞ্জায় লেগে আছে স্মৃতিময় বেদনা
ভাঙা কাচে গুড়োরই মত
কত না বলা কথারা পড়ে আছে ডায়রীর পাতায় পাতায়।।
আমার নিঃশ্বাস থেকে এখনো ফুরোয় নি পুরনো বাতাসের দীর্ঘশ্বাস
একটি পরিচিত কণ্ঠস্বরের বাজে আমারই চারিধারে,
সে যেন ডাকে আমায় ফিরিয়ে নিতে
অতীতের সেই ফিকে স্বপ্নের কল্পজগতে।।
অসংখ্য সমুদ্র বয়ে যায় আমার দু’চোখে ,
তবুও আমি সব অতীত সরিয়ে খুঁজি
তোমার ঠোঁটে প্রেমের স্পর্শ ভুলগুলো শুধরে নিয়ে।।
তুমি আশ্রু ও শিশিরের পার্থক্য বুঝতে ভুল করেছিলে
আমার বুকে জমানো সমস্ত শিশির যখন
তোমারই জন্য দু'চোখের আশ্রুবিন্দু হয়ে উঠেছিল
তুমি তখন ভালোবাসার নাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলে।।
কত স্বপ্ন পড়ে আছে সময়ের লাটাইয়ের জীর্ণ সুতোয় ,
জীবন মাঞ্জায় লেগে আছে স্মৃতিময় বেদনা
ভাঙা কাচে গুড়োরই মত
কত না বলা কথারা পড়ে আছে ডায়রীর পাতায় পাতায়।।
আমার নিঃশ্বাস থেকে এখনো ফুরোয় নি পুরনো বাতাসের দীর্ঘশ্বাস
একটি পরিচিত কণ্ঠস্বরের বাজে আমারই চারিধারে,
সে যেন ডাকে আমায় ফিরিয়ে নিতে
অতীতের সেই ফিকে স্বপ্নের কল্পজগতে।।
অসংখ্য সমুদ্র বয়ে যায় আমার দু’চোখে ,
তবুও আমি সব অতীত সরিয়ে খুঁজি
তোমার ঠোঁটে প্রেমের স্পর্শ ভুলগুলো শুধরে নিয়ে।।
ফোটোগ্রাফী -মোঃ সরোয়ার জাহান