অষ্টম সংখ্যায় আছে মোট চৌদ্দটি কবিতা, লিখেছেন-সরদার ফারুক,রত্নদীপা দে ঘোষ,ইন্দ্রানী সরকার,আব্দুল্লাহ্ আল জামিল,রাজর্ষি ঘোষ, কবি মোস্তফা মিয়া,নৈরিৎ ইমু,অনন্যা দেব,জে এম আজাদ, তামান্না রুবাইয়াত , জহিরুল হক বাপি, খান রনক ,খালেদ ছানা উল্যাহ্ চৌধুরী এবং ইমেল নাঈম্ ।
পথের সংসার
-সরদার ফারুক
অকারণে তোমাকে ডাকবে
পথের সংসার
ছেঁড়াখোঁড়া তুলোর পুতুল
ঘরকুনো বেড়ালের ওম্ রেখে
আবার দেখতে যাবে ঝুনঝুনি ফুল
ধুলোয় ভরবে জামা ,পুরোনো পাৎলুন
পদাতিক
অসময়ে তোমাকে খুঁজবে
বেদের বহর
অসুখেরা

রত্নদীপা দে ঘোষ
বাড়ন্ত রোদের দেখেও আকাশ জোয়ান হয়ে উঠছে না
বাঁক নিলো নীল সাদা ডোরা কাটা পেঙ্গুইন
পালক খসছে ধুলোপায়ে পাঁজরের জুম অ স্নানে
মেঘপোকারা ঈশানের পানসিতে গাঁথা সমুদ্র
গাছের জরুরী অঙ্গে বাতিঘর নিয়েছে একটা পাখি
তার ছায়ায় অজস্র সোনালী
মৃদুসূর্যের বিকেল মৃত্যু ফেলছে হরিণকণা
যেন আর একটু শান্ত হলে জ্যোৎস্নার বিষণ্ণ অসুখ
বাঁক নিলো নীল সাদা ডোরা কাটা পেঙ্গুইন
পালক খসছে ধুলোপায়ে পাঁজরের জুম অ স্নানে
মেঘপোকারা ঈশানের পানসিতে গাঁথা সমুদ্র
গাছের জরুরী অঙ্গে বাতিঘর নিয়েছে একটা পাখি
তার ছায়ায় অজস্র সোনালী
মৃদুসূর্যের বিকেল মৃত্যু ফেলছে হরিণকণা
যেন আর একটু শান্ত হলে জ্যোৎস্নার বিষণ্ণ অসুখ
সে আসে
-ইন্দ্রানী সরকার
নিভু নিভু নীল জ্যোছনার সিঁড়ি পথ বেয়ে সে আসে .....
ঘুমের নেশায় ঢুলু ঢুলু তার দুটি চোখের তারা
সোনালী এক রাশ চুল মাথার উপর এলোমেলো |
অবাক চোখে সে চেয়ে থাকে আমার মুখপানে
কোন কথা বলে না, কেন তা জানিনা .....
তার দৃষ্টি কোমল, ভালোবাসার মূর্ছনায় গভীর |
পলকহারা সেই দৃষ্টি আমায় ছুঁয়ে যায় ...
আমি ভেসে যাই, ডুবে যাই, তলিয়ে যাই |
আমার মন যেন মনেমনেই চুপিচুপি বলে -
বল না কি তোমার মনের কথা ?
সে চুপ, গভীর রাত্রিও তারই মত নিশ্চুপ ...
চাঁদের আলোয় ভাসে তার মায়াবী মুখ ....
কপালে আমার...যেন রাখে সে
আলতো তার স্পর্শ |
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় .... দেখি নেই কেউ
বাইরে তখনো চাঁদ রূপের পসরা নিয়ে হাসছে !
কেবল একটা ঝড়

যা যেখানে ছিলো সেভাবেই আছে সব ঠিক ঠিক
কিন্তু কি একটা ঝড় যেন কোথা দিয়ে বয়ে গেলো।
কেমন যেন জ্বরের ঘোর, প্রলাপ বকছে
কেমন যেন মুখটা তিতা তিতা।
মেঘের পিঠেতে চড়ে কিছুদিন ঘুরে এসে
মনটা যে বেশ ফুরফুরে লাগে।
গাঙচিলের ডানায় চেপে
মাঝ সমুদ্রে অবগাহনে বেশ লাগে।
কে যে স্বপ্ন থেকে স্বপ্নলোকে ডেকে নিয়ে যায়
স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল যে ঘুরে আসে
কল্পনার ফানুশ উড়িয়ে কতো না আনন্দ হয়
আবার আগুনে-পতঙ্গে মিতালী হয় মারাত্মক।
সব যেমনটা ছিলো তেমনই আছে
কেবল একটা ঝড় যেন বয়ে গেলো।
কশেরুকা ও অর্ধনারীশ্বর
-রাজর্ষি ঘোষ
প্রেয়সী এ কশেরুকা একান্ত আমার
তুমি নিয়ে নাও ব্যক্তিগত যত চতুর্দশী চাঁদ মেঘের আড়ালে
কিংবা রাতঘুম সুবর্ণরেখা ছলছল ছলছল ছলছল
অথবা টিমটিমে এই আধবোজা ডিঙি
আমার দিগ্বলয় আমি তোমায় দিলাম
আর দিলাম আংশিক ঘুম
যেখানে এক কাঁধে মাথা রেখে তুমি চলে যাও রাতপরী দেশে
স্বাতীর বুক থেকে চুরি করে আনো দোয়েলের শ্বাস
বাকি অর্ধেক অবশ্যই আমার আমারই
তোমাকে ঘিরে গোপন লোভী ইচ্ছেগুলো যখন কামড়ে ধরে
চোখের পাতা আর আর্দ্রতা বাসা খোঁজে ঠোঁটের আঁচলে
সে হেমলক আমি কি করে তোমার করি
আমি ভল্গা চিনি না
চিনলে জল ভাগ করে নিতাম ভারত আর বাংলাদেশে
শুধু সবুজ শ্যাওলাটুকু যারা ভেসেছিল অসহায় চোখের জলে
আঁকড়ে ধরল আমার আর তোমার অক্ষরেখা
মাঝে মাঝে দ্রাঘিমাংশও পড়ে
মাঝে মাঝে আমার সকাল হলে তোমার সন্ধ্যে হয়
তবু কখনো অর্ফিয়াসের বাঁশী বাজিয়ে ফিরে আসেন রবীন্দ্রনাথ
আমিও জানি গীতাঞ্জলী তোমার ভাগের
আমরা যারা অর্ধনারীশ্বর ছিলাম কখনো
অর্থাৎ দানব বা তৎসম সন্ধি-সমাস
তাদের একটি করে তুমি ছিল অকাল শ্রাবণের আগের বোধনে
তুমি তুমি তুমি কোন বিচ্ছিন্ন বদ্বীপ নয় সমুদ্রকণ্ঠে
সেই তুমিটাও তুমি নিয়ে চলে গেলে
ছিঁড়ে খুঁড়ে যাবে কশেরুকা যদিও অধিকার নেই আমার তুমিতে
সুতরাং লোভী কাঁধ আর কশেরুকাটার শেষ অভিমানে বলছি
উত্তর মেরু তোমার রইল চন্দ্রগ্রহণে আমার স্বত্ব
বামন ও চাঁদ
-কবি মোস্তফা মিয়া
আজ বামনের ভীষণ মন খারাপ
কত সহস্র রজনী পার হয়ে গেল-
কিন্তু চাঁদ ধরা আর হলো’না।
প্রতি সন্ধ্যা বামন চাঁদের অপেক্ষায় থাকে
কখন চাঁদের ওঠার সময় হবে,
কখন চাঁদ দেখা যাবে,
কিন্তু চাঁদ যখন উঠে, তখন না পাওয়ার এক বেদনায়
বামনের মনের গভীরটা দুমড়ে মুচড়ে যায়।
প্রতি রাত বামন জেগে থাকে
কারণ, এক মুহূর্তের জন্যও সে চাঁদকে চোখের আড়াল হতে দিতে চায় না।
যখন ভোরের আলো ফোটে, চাঁদের বিদায়ের সময় হয়,
তখন- বামন কিছু বলতে পারে না।
না বলা কথা গুলো অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ে।
এমনি করেই বামন চেষ্টা করে যাচ্ছে,
কোন একদিন সে চাঁদ ছোঁবে নিশ্চিত।
কত সহস্র রজনী পার হয়ে গেল-
কিন্তু চাঁদ ধরা আর হলো’না।
প্রতি সন্ধ্যা বামন চাঁদের অপেক্ষায় থাকে
কখন চাঁদের ওঠার সময় হবে,
কখন চাঁদ দেখা যাবে,
কিন্তু চাঁদ যখন উঠে, তখন না পাওয়ার এক বেদনায়
বামনের মনের গভীরটা দুমড়ে মুচড়ে যায়।
প্রতি রাত বামন জেগে থাকে
কারণ, এক মুহূর্তের জন্যও সে চাঁদকে চোখের আড়াল হতে দিতে চায় না।
যখন ভোরের আলো ফোটে, চাঁদের বিদায়ের সময় হয়,
তখন- বামন কিছু বলতে পারে না।
না বলা কথা গুলো অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ে।
এমনি করেই বামন চেষ্টা করে যাচ্ছে,
কোন একদিন সে চাঁদ ছোঁবে নিশ্চিত।
রাত্রির ভ্রমে কবি
- নৈরিৎ ইমু

সংক্ষিপ্ত করে দেয়
ক্রমে ঘনিয়ে আসে সন্ধ্যা ...
অন্ধকারকে স্বাগত জানাতে ব্যাকুল ,
আমার সমস্ত ইন্দ্রিয় একনিষ্ঠ প্রবৃত্তি ...
ব্যস্ততা শেষে সকলে
ফিরে যায় আপন ঘরে ;
শুধু ঘরহারা আমি
পরে থাকি পথে প্রান্তরে ...
আলোড়ন বেড়ে চলে মনোজগতে ,
আর বাইরের জীবনে না হতে পারি সুস্থির !!
রাত নেমে এলে পরে জমাট অন্ধকার
কল্পিত আলোর পটভূমিকায় -
কোন রেখামূর্তি
দৃষ্টি ভ্রমও যদি হয় ;
হাত বাড়িয়ে দেবী ডাকবে আমায় !!
প্রার্থনা
-অনন্যা দেব

দুপুরের হাওয়া যেন লেলিহান শিখা ।
একটা লোক রাস্তার ধারে বসে চোখ বন্ধ।
কে ও ?
রাস্তায় চলতি মানুষ ফিরেও তাকায় না,
হয়তো জিরিয়ে নিচ্ছে ।
তবু কয়েকটা কৌতূহলী চোখ ,
দুপুর থেকে বিকেল।
তারপর জানা গেল সান্সট্রোক , মরে গেছে অনেকক্ষণ ।
একটা লোক , কয়েকটা মানুষ , কয়েকটা পরিবার শেষ ।
হাসি শেষ, আনন্দ শেষ ,
সূর্যের প্রখর তাপেও শুধুই অন্ধকার ।
খবরের কাগজ বলছে গত একমাসে কোলকাতা শহরে
এসি বিক্রি চল্লিশ হাজার।
বড়লোকদের গরম নেই।
পাখি মরছে, পশু মরছে
আর মরছে সেই সব মানুষ যাদের সামর্থ্য নেই,
এই তপ্ত দুপুরেও না পথে নেমে উপায় নেই।
ওদের তৃষ্ণার্ত প্রাণ বৃষ্টি খোঁজে।
ওদের জন্য, সবার জন্য,
অগুনতি ঘাম ঝরানো মানুষের জন্য ।
দুঃখের জন্য , শোকের জন্য,
আনন্দের জন্য , সুখের জন্য।
হে ঈশ্বর বৃষ্টি দাও, জুড়িয়ে দাও প্রাণ।
আমিই'ত সেই অনিন্দিত পুরুষ
-জে এম আজাদ

বহুবিধ জ্যামিতিক দেহ
তেমনি আমিও থাকি
তোমার অঙ্গের ভাজে ভাজে, ধবল মৃত্তিকায়
থাকি তোমার অতিক্রান্ত কৈশোরের প্রসন্ন গোপনে,
কাঁচুলির ওপারের আবদ্ধ আঁধারে
আরও থাকি তোমার অনামিকার অরুণাভ দেহে ।
কৌমার্যের অহংকার ছেদ করে
তোমার চোখে বিশ্বাসের
সবটুকু বোধ ঢেলে দিয়ে
যে পুরুষ বলেছিল ভালবাসি
আমিই'ত সেই অনিন্দিত পুরুষ
যে কিনা চন্দনের গন্ধ গায়ে মেখে
তোমাকে মাতাল করেছিল মহুয়াবনে
সাজিয়েছিল বাসর
তোমার অনিমেষ চোখে ।।
অঙ্গার হয়ে যাই
-তামান্না রুবাইয়াত

আমি কি তোমার ছোট্ট খেলার পুতুল?
আমি কি তোমার ঘুমন্ত কোন দুপুর?
আমায় দিলেও দেও যে কেবল নিত্ত হেলাফেলা
তোমার মনে আমার জন্য নেই ঠাই একবেলা
তোমায় আমি দেবার মত পাই না এমন কিছু
বলও যদি দিতে পারি শুধু চোখের জলটুকু
এভাবে আর পুড়াবে কত,করবে আমায় ছাই
জ্বলতে জ্বলতে আমি যে তোমার
অঙ্গার হয়ে যাই!
আমি কি তোমার ঘুমন্ত কোন দুপুর?
আমায় দিলেও দেও যে কেবল নিত্ত হেলাফেলা
তোমার মনে আমার জন্য নেই ঠাই একবেলা
তোমায় আমি দেবার মত পাই না এমন কিছু
বলও যদি দিতে পারি শুধু চোখের জলটুকু
এভাবে আর পুড়াবে কত,করবে আমায় ছাই
জ্বলতে জ্বলতে আমি যে তোমার
অঙ্গার হয়ে যাই!
স্বাভাবিক ঘটনার বাইরে
-জহিরুল হক বাপি
কখনও কখনও দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসে ভেবেছি কত কি,
কখনও কখনও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখেছি নর-নারীর শরীরের ভাজ-
সারি সারি মানুষের ভিতর খুঁজেছি গল্পের উপাদান,ঘটনা
কিন্তু আমার কোন গল্প লিখা হয়নি, চলে গেছে দিন থেকে দিন।
ভাঙ্গা বাঁশি নিয়ে কৃষ্ণ বাঁশি বাজিয়ে যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা
রাধার সাজ সজ্জা চলে দিনমান তাই কৃষ্ণ কেবল রাখাল বালক
এ ঘটনা জেনেও আমার ছোট গল্পটা লিখা হয়নি, আমি গল্প খুঁজি-
এক কিশোর নিজেকে দার্শনিক ভেবে কবিতা লিখতো চমৎকার
তার কোন লিখাই আসলে লিখা নয় সবই ছিল নদীর কথা-
তার জীবন নিয়েও একটা ছোট গল্প লিখা যেত কিন্তু হয়নি।
ঘুষ খেয়ে ধরা পড়ে আবার ফিরে আসে ক্ষমতাবান আমলা
তার মদের সন্ধ্যা মাতাল হতে হতে ভেবেছি একটা গল্প লিখবো,
একরাতে নোংরা এক যৌনকর্মীকে নিয়ে মেতেছিলাম খেলায়
তার বড় তাড়া ছিল শিশুকে স্তন পান করানোর,সে দেয়নি আমায় স্তন
পকেট বলে তার স্তন চুষতে চুষতেও ভেবেছি একটা গল্প লিখবো!
এক তরুণ আত্মঘাতী হয়েছিল- সে পণ্য সামগ্রী, এ সত্য জেনে গিয়ে
দুধ রঙা তার শবদেহ দেখতে গিয়ে ভেবেছি একটা গল্প না লিখলেই নয়।
সিমুদ্র থেকে পূর্ণিমা, পথ থেকে পতিতা পল্লী, ক্ষুধা থেকে বৃষ্টি
জঙ্গল থেকে প্রেমিকার চুল কোথায় না খুঁজেছি একাট গল্পের ঘটনা!
আমার আজও গল্প লিখা হয়নি- ঘটনা পাই নি বলে ...
নেশার ঘর
-খান রনক

জুয়ার ঘরে,
বাজির দরে,
রয়েছে আজো আঁধারে।
তুই আগুন জ্বালাস,
তুই ফুঁ দিস।
সে আগুনে নিজেই জ্বলে পুড়ে ছাই
তোর সব যাই যাই।
একেবারে বিন্দুতে মিশে
পড়ে থাকিস তুই যেখানে সেখানে আষ্টেপৃষ্ঠে।
তোর মায়ের চোখের জল তুই দেখেও দেখিস না
এ তোর নিষ্ঠুরতার কোন নিশানা ?
তোর ঝাঁপসা চোখে এপার-ওপার সব জ্বলে পুড়ে ছারখার
তোর ভৌতিক যাতনায় সহসাই কেউ ব্যস্ত তোর মৃত্যু কামনায়
হঠাৎ তুই নেই-
তোর আহাজারি আর কেউ শোনে না
সব হারিয়ে......
তোর কোথাও আর ঠাই নেই
তোর হাতে সময় আর নেই
আজ শেষ রাতে,
তোর মৃত্যু তোকে করেছে ভর
তুই আজ মর।
জমানো কষ্ট
-খালেদ ছানা উল্যাহ্ চৌধুরী
আমার হৃদয়ের আকাশে
আজি নেমেছে গোধূলি, মলিন
ঝড়ো হাওয়ায়, হয়েছে বিলীন
ছিলো যত স্বপ্ন, রঙিন ।
ফুল আজ মধু শূন্য
ভোমেরা অন্য বাগানে, ধন্য
যারা আমায় ভালোবাসতো
আমার ছেয়ে বেশি
তারা আজ স্বর্গ বাসী ।
সুখময় স্মৃতি গুলি হয়েছে অতীত
স্বপ্ন গুলি হয়েছে বিলীন
মাতৃ চরণে মাথা-রেখে
ঘুমাবার স্বাদ জাগে প্রতিদিন ।
আজ মনে হয়, পৃথিবীকে
কিছু দিবার নেই আর আমার
নিঃসঙ্গ হৃদয় করে হা-হাকার
নতুন আশায় স্বপ্ন জাগে বাঁচার ।
আজি নেমেছে গোধূলি, মলিন
ঝড়ো হাওয়ায়, হয়েছে বিলীন
ছিলো যত স্বপ্ন, রঙিন ।
ফুল আজ মধু শূন্য
ভোমেরা অন্য বাগানে, ধন্য
যারা আমায় ভালোবাসতো
আমার ছেয়ে বেশি
তারা আজ স্বর্গ বাসী ।
সুখময় স্মৃতি গুলি হয়েছে অতীত
স্বপ্ন গুলি হয়েছে বিলীন
মাতৃ চরণে মাথা-রেখে
ঘুমাবার স্বাদ জাগে প্রতিদিন ।
আজ মনে হয়, পৃথিবীকে
কিছু দিবার নেই আর আমার
নিঃসঙ্গ হৃদয় করে হা-হাকার
নতুন আশায় স্বপ্ন জাগে বাঁচার ।
সাম্প্রতিক

কিছু পাওয়া আর না পাওয়ার হতাশাকে
রেখে দেই সব কষ্ট বুকের ভিতরে। বলতে
পারিনা জমানো সব দুঃখ মালা, পারি না
কেঁদে ভুলতে এসব কষ্টের ঘটনা। কিছু
মিথ্যে অভিমান আর বাকিটা ক্ষোভ নিয়ে
বসে থাকি ঘরের এক কোনে। এমন
জীবন কেন হয় মানবের? যেখানে অসহায়
সব কিছু অর্থের নিকটে, মানুষ বন্দী অর্থের
কাছে। পত্রিকা পড়ি না মনের ভুলে, যদিও
পড়ি তবে শুধু খেলা আর বিনোদনের পাতায়
চোখ রাখি সীমাবদ্ধ। কেন আমরা সাধারণ
জনগণ হয়ে গেছি কারো খেলার পুতুল?
রাস্তায় নামতে হয় বড় ভয়। জান না নিয়ে
ফিরতে পারার ভয়, ভয় হাইজ্যাক হবার,
ভয় সড়ক দুর্ঘটনার। এসবের নেই কোন
প্রতিকার। জীবন এখানে বড়ই অনিশ্চিত
আকাঙ্ক্ষাহীন জীবনের নগ্ন প্রতিচ্ছবি।
রাজনৈতিক নেতারা ব্যস্ত ক্ষমতার লোভে,
এই দৌড়ে এখন পাতি দলের নেতারাও
সরাসরি জড়িত। আল্টিমেটামের উপর
আল্টিমেটাম, জনগণের কথা কয় না কেউ।
শেয়ার বাজার আজ বড়ই দুষ্ট, কি করে
বিনিয়োগ করি বল। নৌ মন্ত্রী কেঁদে কয়
ড্রাইভার চিনবে গরু আর ছাগল, মানুষ
চিনার কি দরকার? ১৮ দলে আছে কে কে
কেউ কি বলতে পারবে, ১৪ দলের অবস্থা
আজ বড়ই শোচনীয়। সরকারের বিরুদ্ধে
বললে কথা এখন ফ্রি জেলখানা। ভুলেও
মানুষ করছে না এখন সরকারের সমালোচনা।
আগে হত শুধু খুন সাথে এখন নতুন আইটেম
গুম, আগে লাশ মিলত মর্গে কিংবা রাস্তায়।
এখন আর পাচ্ছে না কেউ লাশের খোঁজ।
সংবাদ পত্র আজ নাকি রাজনৈতিক দলের
মুখপাত্র,এমন জাতীর ভবিষ্যৎ কি তোমরাই
বল? আমি কবি অতি মূর্খ, তাই আছি নিশ্চুপ।