১৪
তম সংখ্যায় আছে মোট ১২টি কবিতা,
লিখেছেন-মৌ
দাশগুপ্তা,সরদার
ফারুক,মোঃ রেজাউল করিম রাব্বী,শৈলেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী মানিক,সোহান সরকার,রাওয়ান সায়েমা,তামান্না রুবাইয়াত,হান্নান হামিদ লিখন,হাসিদা
ইয়াসমিন মুন,হিমেল,মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর এবং সাইদুর
রাহমান মিলন ।
আকাশ জুড়ে সোনা রোদের খেলা
খেলা খেলায় উছলে ওঠে দিন।
দিন ফুরিয়ে মোমঘন রাত ঘনায়
ঘনায় মনে সুপ্তি তৃষাহীন।।
তৃষাহীন এই আকাঙ্ক্ষার ক্ষণ,
ক্ষণ কালের যাত্রী সময় পথে,
পথে কত লোকের আনাগোনা,
আনাগোনা চেনা অচেনাতে।
অচেনাতে ভিজছে মনের মেঘ
মেঘ উজালো ভালোবাসার আলো।
আলো মেখে ভয় গেল সব ঘুচে
ঘুচে গেল মনের যত কালো।
কালো শঙ্কা মেললো যে তার ডানা
ডানা মেললো উদার দখিন বায়ে
বায়ে বুঝি ঝঞ্ঝা ফিরে এলো
এলো ফিরে সরষেদানা পায়ে
পায়ে পায়ে পথ বুঝি বা ফুরায়
ফুরায় যত দুঃখ রাতির আভাষ
আভাষ জয়ী সুখের কাঁচা সোনা
সোনা রোদে ঝিকমিক আলো আকাশ।।
-সরদার ফারুক
মুগ্ধ হবে , এমন ভাবি না
তবু যদি চোখে পড়ে যায়
আমার নামের কাঙাল অক্ষরগুলো
সে লোভেই ঘোরাফেরা করে
সারারাত পদ্য লিখে টাঙিয়ে রেখেছি
মোড়ে মোড়ে , যাত্রীবাহী ট্রেনে
আর্দ্র হবে, অত আশা নেই
একবার যদি ভুল করে পড়ো
অনাদৃত নামের বানান
সে লোভেই ঘোরাফেরা করে
সারারাত পদ্য লিখে টাঙিয়ে রেখেছি
মোড়ে মোড়ে , যাত্রীবাহী ট্রেনে
আর্দ্র হবে, অত আশা নেই
একবার যদি ভুল করে পড়ো
অনাদৃত নামের বানান
সু-স্মিতা; তোমাকে

-মোঃ রেজাউল করিম রাব্বী
আজকাল দু'ঠোঁটের ফাঁকে নিকোটিন
পোড়াই না শুধু তোমাকে পোড়াবো বলে;
রাত হলেই- অন্ধকার জমানো, দু'পায়ের
ফাঁকে উষ্ণ বাতাস বইতে থাকে।
নীল-বেগুনী ইচ্ছে গুলোর জমাটে
বাঁধতে থাকে ভিজিয়ে দেয়া ঘামের জট;
স্বপ্নপাহাড়ে মিশে যাবার আগে পেঁচিয়ে ধরে
দেয়ালের রেখা; বলতে পারো - সুতাহীন সম্পর্ক কি ?
তবে কেন, সুঁই কাঁপিয়ে তুলছে তপ্তবাহু,
চোরা চোখের এই ঈশারা !
সব খোকাদের জন্য

-শৈলেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী মানিক
কী আর লেখবো বলো
যখন শান্তির পাখিরা
উড়ে চলে যায়
কোন্ অজানায় !
আজ আকাশে মেঘ নাই
জোনাকিরা হাওয়ায় ভাসে
আবার কদম ফুটেছে
এই রাতে আমি যে একা !
যে ছিল আমার বলে
সে যে আমার নয় !
আজ রাতে গান শোনালো
রাতের পাপিয়া !
সে যে করুন সুরে
গাইছে গান কোন্ বেদনায় !
কবির চেতনায় কবিতা ,
কবিতার চেতনায় কবি !
আজ কবি শৃঙ্খলে আবদ্ধ,
কেন এই শৃঙ্খল !
পৃথিবীর অগণিত খোকারা আসছে
কবিকে মুক্ত করতে !
কবি আজ মুক্ত হবেই !
কবি কবিতা লেখবেই !
কবি গান গাইবেই !
কবি তার খোকাদের অযুত চুমু দেবে
যা পারেনি এতদিন !
কবির কবিতা ,
কবির গান ,
কবির চেতনা ,
সব সব খোকাদের জন্য !
কী আর লেখবো বলো
যখন শান্তির পাখিরা
উড়ে চলে যায়
কোন্ অজানায় !
আজ আকাশে মেঘ নাই
জোনাকিরা হাওয়ায় ভাসে
আবার কদম ফুটেছে
এই রাতে আমি যে একা !
যে ছিল আমার বলে
সে যে আমার নয় !
আজ রাতে গান শোনালো
রাতের পাপিয়া !
সে যে করুন সুরে
গাইছে গান কোন্ বেদনায় !
কবির চেতনায় কবিতা ,
কবিতার চেতনায় কবি !
আজ কবি শৃঙ্খলে আবদ্ধ,
কেন এই শৃঙ্খল !
পৃথিবীর অগণিত খোকারা আসছে
কবিকে মুক্ত করতে !
কবি আজ মুক্ত হবেই !
কবি কবিতা লেখবেই !
কবি গান গাইবেই !
কবি তার খোকাদের অযুত চুমু দেবে
যা পারেনি এতদিন !
কবির কবিতা ,
কবির গান ,
কবির চেতনা ,
সব সব খোকাদের জন্য !
তোমাকে খুঁজে পাই

-সোহান সরকার
সীমান্তে পৌঁছে যাবার পর
অথবা পেরুতে তপ্ত বালুচর,
অগ্নি শিকলে নরকের সিঁড়িতে
অথবা কোন মৌলি গিরিতে
তোমাকে খুঁজে পাই।
আমার বক্ষের অনুর্বর ক্ষেতে
রাত্রিতে নেমে আসা তুষার শীতে
অথবা বর্ষার রঞ্জিত চিতে
হয়ত আগাছা হয়ে ফসলের বিপরীতে
তোমাকে খুঁজে পাই।
বিনা মেঘে ঝড়ে পড়া খেয়ালি বর্ষণে
অথবা মেঘলা আকাশে বজ্রের গর্জনে
কভু নিয়ন্ত্রনহীন প্রেম ভরা মনে
কখনোবা অযথা নিষ্প্রয়োজনে
তোমাকে খুঁজে পাই।
গরীবের অনাহারের শূন্য হাড়িতে
বিনিময়ে আমাদের সুখের মহামারিতে
এতদিনের অতিক্রান্ত স্বপ্নের সিঁড়িতে
আমার গুছিয়ে রাখা ভাঙ্গা এই বাড়িতে
তোমাকে খুঁজে পাই।
স্টেশনে শিশুটির ভিক্ষার থলেতে
আমাদের বাবুটির আধো আধো বোলেতে
মুমূর্ষু কিশোরের মায়ের কোলেতে
হটাত কেঁপে ওঠা পৃথিবীর দোলেতে
তোমাকে খুঁজে পাই।
মুঠোফোনে ভেসে আসা ক্ষুদ্র চিঠিতে
মাঝরাতে আমার জাগ্রত দিঠিতে
কাক ডাকা ভোরে ভাবনা ভরা মাথাতে
আমার তপ্ত কোন কবিতার খাতাতে
তোমাকে খুঁজে পাই।
যে জীবন আমার সেটা তোর নাও হতে পারতো
'ভালোবাসা জানিস' বলে কোন এক অসমাপ্ত চিঠির সমাপ্তি টেনে দিয়ে শেক্সপিয়ারকে স্যালুট করে গুরুগম্ভীর হয়ে টু বি অর নট টু বি বলেই বাকিটা জীবন অনায়াসেই কেটে দেওয়া যেত বোধহয়
অন্তত বর্ষাকালে কদম নিয়ে মাতামাতি করার কিছু থাকতো না
সন্ধ্যায় কারো ভেজা ঠোটের উষ্ণতা থাকতো না
এই বৈকি তো কিছু নয় !
তবু তবু করেও তবু আটকাতে পারলাম কই ?
যে জীবন নৌকার , পাল তুলে তোর নদীতেই ভাসে . . .
আকাশের টিপ

-তামান্না রুবাইয়াত
অন্ধকার আকাশে সুখ তারা
সন্ধ্যা তারা খুঁজে ক্লান্ত হই
আকাশের একমাত্র চাঁদ
শুধু আজ তোমার হোক
বৃষ্টি,রোদ, মেঘলা মন
সবই আমার কপোলে দেবো
ওহ আমি প্রতিবারই ভুল বকি
তাই তো মেঘের ফাঁকে আড়াল খুঁজি
তোমার মন বেশী ভালো
নাকি আকাশের রঙ
ভাবতে গেলে দ্বিধায় পরে যাই
এমন করে যদি প্রতিদিন ভোর হতো
সূর্য তোমায় আমি অনেক ভালবাসতাম
মেঘ হয়ে ছায়া দিতাম
বৃষ্টি হয়ে মনের অনল নিভাতাম
রাত হলে জোছনার আলো ছড়িয়ে
চাঁদকে কপালের টিপ বানাতাম।
আকুতি
-হান্নান হামিদ লিখন
পারতেই হবে বলছি’নে
যদি পার,
_____তবে একবার
_____শুধু একবার
এই বুকে মাথা রেখো
_____শুনো হাহাকার
_____ভাঙা চুরমার ।
আসতেই হবে বলছি’নে
যদি আসো,
_____তবে একবার
_____শুধু একবার
লাল টিপ পরে এসো
______গলবে পাহাড়
______হবো, হবো একাকার ।
পেতেই হবে বলছি’নে,
যদি পার,
_____তবে একবার
_____শুধু একবার
বৈকালী আকাশে চেয়ো
_____হবো শঙ্খবার
_____সুনীল খামার ।
পারতেই হবে বলছি’নে
যদি পার,
_____তবে একবার
_____শুধু একবার
এই বুকে মাথা রেখো
_____শুনো হাহাকার
_____ভাঙা চুরমার ।
আসতেই হবে বলছি’নে
যদি আসো,
_____তবে একবার
_____শুধু একবার
লাল টিপ পরে এসো
______গলবে পাহাড়
______হবো, হবো একাকার ।
পেতেই হবে বলছি’নে,
যদি পার,
_____তবে একবার
_____শুধু একবার
বৈকালী আকাশে চেয়ো
_____হবো শঙ্খবার
_____সুনীল খামার ।
"
হে বন্ধু !
"
-হাসিদা ইয়াসমিন মুনহে বন্ধু ! দাঁড়িয়েছো কোন স্মৃতিস্তম্ভের নীচে
আমি শঙ্কিত
প্রত্যেক পাশে রোধকরা কিছু গুপ্তচর
আর নিন্দিত বিচারক
রক্তের মধ্যে ঘূর্ণায়মান জনতা
গাদাগাদি করে ধমনী মূলে
বুট' জোড়াগুলি অসহায় করে
সরিয়ে দিচ্ছে সময়কে
নিরর্থক সংগঠন , হত্যাযজ্ঞ ,বিদ্রূপ চিৎকার
হে বন্ধু ! সংরক্ষিত হও
আমিও শঙ্কায়
কিছু শস্যকণা , আত্মীয়স্বজন ,দেশপ্রেম
কালোবাজারির অপবিত্র হাতে লাঞ্ছিত হয়
সভ্যতা ধার্মিকতা স্বস্তি আমাদের ভূমি
নির্বিকার তবুও তুমি ...........................???
অধম বিরোধ অসহ্য সময়
যেন বমন করার প্রাক্কাল গা গুলানো' ক্ষণ
শুধু কি বাক্যবাণ প্রয়োজন ???
কিংবা বসে বসে অগণিত ঠাওর'
হে বন্ধু ! আমি কি বৃক্ষে বসে
পাতাকে করি অস্বীকার
এখন আমরা করতে পারি অনেক কিছু
একটা বৃহদায়তন শব্দহীন চিৎকার !!!
নিজের জাহাজে নিজেই ক্যাপ্টেন'
করতে পারি অনেক কিছুই অপরাধের বিরুদ্ধে
বজ্রধ্বনি হুংকার !
বসন্ত বাগানে আবারো আসবে
দ্রুত চলো অশুভকে স্নান করাই শীতল পানিতে
সবুজ ঘাসে ঘষে ঘষে স্নিগ্ধ করি .....
যদি হও সত্যিকার বাঙ্গালী'
অবিচ্ছিন্ন হৃদ্যতায় চিরতরে
মৃত্যু ঘৃণ্য পচনরত বর্তমানকে দেখে
প্রয়োজন নেই ঘাবড়ানোর ,
হে বন্ধু ! আমরা নিজেরাই হয়ে উঠি চলো
'ধুসর গাছের সবুজ পাতা'
করবোনা আকাশ আর ধরণীকে বঞ্চিত
তাহলে আমিও হবোনা
না আর হবোই না
মুহু মুহু শঙ্কিত .................................!!!???
এক টাকার সুখ
-হিমেলচারআনার লাঠিলজেন্স
চারআনার শনপাপড়ি ,
চারআনার দুধমালাই
চারআনার কটকটি।
একটাকায় মন ভালো
একটাকা শেষ হয়না ,
একটাকায় মুখে আলো
একটাকার ম্যালা বায়না।
চারআনার হাওয়াইমিঠাই
চারআনার ঘুড্ডি - সুতা ,
চারআনার মাঞ্জা - নাটাই
চারআনার রুলটানা খাতা।
একটাকার শৈশব ছিল বিশাল বড়
একটাকা শেষ হতনা ,
একটাকায় পুরোপৃথিবী পেতাম
একটাকা , তবু বাবা দিতনা।
ভালবাসি, নির্বাণ প্রত্যাশায়
-মোহাম্মদ আন্ওয়ারুল কবীর
" নিষ্কাম কর্মযোগই হোক ভবিতব্য,
ফলের প্রত্যাশা করো না ''
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অর্জুন সারথি শ্রী কৃষ্ণের হিতোপদেশ-
এ কথা অনেকেরই জানা।
রক্তে-মাংসে গড়া তুচ্ছ মানব আমি
দেবাসুরের মিশেল রক্ত শরীরে আমার;
শাস্ত্রবাণী অলঙ্ঘনীয়- প্রায়শ:ই মানি না
নিষ্কাম কর্মে নেই আস্থা,
সীমায়িত জীবন খুঁজে হাতেনাতে কর্মফল।
এই যে আমি তোমায় ভালবাসি-
ভালবাসা কি কর্ম নয়?
নিষ্ফলা ভালোবাসায় তৃপ্ত নয় মন
প্রতিদান চায়, খুঁজে নির্বাণ।
আমার ভালবাসার সুতীক্ষ্ণ বাণে
আলোড়িত তুমি, তোমার মন-
আমি দেখে যেতে চাই।
পরম মমতায় রাধা ধারণ করে কৃষ্ণকে
অত:পর তুমিও ধারণ করবে আমায় -
এভাবেই হতে হবে ভালবাসার নির্বাণ।
সাইদুর
রাহমান মিলন
দই, দই, দই, হাঁকে দই ওয়ালা
পাঁচ টাকা মোটে হাঁড়ি !
স্বপ্নে কিনেছি ! স্বপ্ন চাকুরে ! হাতে টাকা কাড়ি কাড়ি ।
দই ওয়ালা তোর ভাঁড় সহ আজ নিতে পারি কিনে দই !
পুরো হাড়ি খাব ? সেই সুখ পাবো ?
সে মন , সে পেট, কই ?
হোন্ডা হাঁকাবো , বয়স যখন, কেনার সুযোগ নাই ।
টাকা যেই হলো , বউ বলে " গাড়ি
",
"জীবনের ঝুঁকি"
, তাই !
থাকি ভাড়া বাড়ি, " বানাবো মহল " ! লনে রবে ফুল, ঘাস
বাড়ি যেই হলো, থাকি কই সেথা !
হাসপাতালেই বাস ।
চরবো প্লেনেতে, সাধ, দেশ দেখা, বহুদিন পুষে রাখি ,
চরলামও প্লেনে, যাচ্ছি যে হজ্জে !
ঐ ছিল কাজ বাকি ।
এমনি করেই সাধ্যকে পিছে ফেলে আগে চলে সাধ,
সবই পেলাম , তবুও কবিতা, কষ্টের ভাঙা বাঁধ !