ঢাকা ,মঙ্গলবার ২২ মে ২০১২ , ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯ , চতুর্থ সংখ্যা ।

চতুর্থ সংখ্যায় আছে মোট বারটি কবিতা, লিখেছেন- আবু জাফর দিলু , কচি রেজা, রেজওয়ান তানিম, মৌ দাশগুপ্তা, ডা.সুরাইয়া হেলেন, রাজর্ষি ঘোষ , আব্দুল্লাহ্ আল জামিল, সিপাহী রেজা, অনন্যা ব্যানার্জী, শ্রীশুভ্র, ওমর জাবীন এবং রুদ্রনীল রায়চৌধুরী





মাটির শপথ



-আবু জাফর দিলু



সামনে এক পা তো পিছনে দু'পা!
সেই কবে থেকে ঝুলে আছি শূন্য হালে,
চোখ ইশারায় কুটিল বৈভব ছুঁয়ে
প্রতি পায়ে পায়ে আটকে পড়েছি জালে ।

সাতচল্লিশের পতাকা থেকে হাঁটিহাঁটি পায়ে
এসেছি স্বদেশে চড়াই-উৎরাই ছিঁড়ে,
তবু আঁধারেই রয়ে গেলাম গরল বিষে,
সুখ-পাখি তবু ফিরলো না নীড়ে !

আমার পাশে দাঁড়ানো বিশস্ত ভেবেছি যাকে,
জীবনের বীণা বাজাবে প্রাণের সুরে ;
আমার স্বপ্নের বুকে পদচ্ছাপ এঁকে..
মীরজাফরের মতো সেই চলে গেছে দূরে !

তবু ভুলি নি এখনো মাটির শপথ,
সকল আগাছা নিড়িয়ে, কাঁপিয়ে প্রাণ,
মিছিলে মিছিলে, স্লোগানে রাঙাবো রাজপথ ;
ফসলের মাঠে গাবো সবে অবিনাশী গান ।



অল্প সার্থকতা নিয়ে





-কচি রেজা







অল্প সার্থকতা নিয়ে কিছু বলি, মানুষের একটি আধা-জীবন আমার ও
চোখ পোড়ার আশংকায় সবাই বলে ওঠে, রয়নার বীজ খাও,
খালা-মনি কি তবে পুরো আত্মহত্যার গল্পটা মিথ্যেই বলে এসেছে এতদিন?
শিশুকাল,সাদা শাড়ি পাশাপাশি তেল জবজবে উঁচু খোঁপা, আমার হৃদপিণ্ড ছুঁয়ে দেখো, ধক ধক লাফাচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞা মেনে যাই নি তো অন্ধকারে গঞ্জিকা সেবনের আখড়ায়
দু’একবার ভজন গেয়েছি মাত্র, আমাকে বিশ্বাস করো,পীড়িত কালে ও আমি বেহাত হই না,
সূচীপত্রে মাত্র দু’একটি কোকিলের নাম ডাক অন্তর্গত,
পুণ্যাত্মা ঘাস সম্বন্ধে ও দুটি কথা, আলতা পরে আমার ও সময় হলো নৃত্যের
বেহুলার পাশে আমাকেই কেন মানায়--কুটির বাসী সন্ন্যাসীর বাটি চালানেও পাওয়া গেল না সে রহস্য
অথচ জীবনের উপর কে যেন রোজ ঢেলে দেয় গরম মাড়,

চিতার বাতাসে আয়ু নাকি জ্বলে ওঠে স্টিরিও সেট?
ডাউন ট্রেনে ভোররাতের সিটি, পাতাল শব্দে বেজে ওঠে দেহ, বই-পত্তর,রচনার খাতা
জন্মান্ধ তুই দেখেছিলি, আর ও একবার দ্যাখ কি নির্মম পুড়ে গেছে বাঁকা হাড়।।




আজ রাত্রে



রেজওয়ান তানিম




জমাট নিস্তব্ধতায় জড়ানো আজকের এই
নিশীথের শেষ প্রহর। ভূতুড়ে কেমন এক
অনুভূতি ছড়ায় এই আমাতে।
বসে আছি আমি পার্কের বেঞ্চিতে
শুক্লপক্ষের গোল রূপোলি চাঁদ-আমার পানে চেয়েছে
বিষন্ন দৃষ্টি মেলে। অবাক হয়েছে হয়তবা
উদভ্রান্তের মত, নিজেই আমি নিজেকে দেখছি বলে।
ওতো জানে না হিংস্রতা আমার
ঢেকে গেছে জোছনাধারার স্নিগ্ধতায় !
ঘুমিয়ে পড়েছে যান্ত্রিকতা যত শহরের, ব্যস্ততার মুখোশ
ঝেড়ে ফেলে শান্ত এখন ঢাকা ।
ঘুমন্ত গাছেরা এখন, স্বপ্নে হয়ত আঁকছে
অব্যক্ত কথার ব্যক্ত চিত্র রূপ, সুর ভাজে নতুন গানের।
পার্কে ভেসে বেড়ানো গনিকারাও হয়ত এখন
ফিরেছে নীড়ে, নির্লিপ্ত দেহের হিসেবের লেনদেন সেড়ে।
স্বপ্ন দেখে মুক্তির, ক্লান্ত শরীরে ঘুমের ঘোরে
আনমনে ধিক্কার দেয় পৃথিবী, সমাজটাকে।

বসে আছি তখনও আমি, ডুবে থাকি একাকীত্বের
মগ্ন চন্দ্রালোকে। জ্যোৎস্না ধারায় ভিজে
আমি জ্বেলে যাই বুকের গহীনে ভালবাসার
অগ্নি মশাল। হৃদয়ের অনন্তে মোর, তু্লে রাখি
শুভ্রতম গোলাপ, কাটা ছাড়াই শুধু তোমারই জন্যে।
ঘুমিয়ে পড়েছ হয়তবা, তোমার চোখ জুড়ে আসা
জলের ধারা, মুছিনি আমি। অনুতপ্ত এ মন
এখন খোঁজে ক্ষমার আশ্রয়। তাই কবিতা লিখি
আজ রাত্রে-যার চরণে-পঙতিতে, উপমায়-উৎপ্রেক্ষায়,
একমুঠো বেদনার অঝোর বর্ষণ। হয়ত একদিন
দেখা হবে তার,অচেনা পৃথিবীর রূপ!মিলনেই হয়ত
হবে সব সমাপন-কাল প্রভাতে। তুষার ঝরা
রাতের ছোবলে জীর্ণ হওয়া অধরখানি তব,
ছুঁয়ে দেবে নতুন অরুণ রক্তিম আভায়।
আমি তখন ভালবাসার গানে হব বিভোর,খুঁজব আশ্রয়
বানীর মাঝে। দেবো তুলে তোমার হাতে সর্বস্ব আমার।



খেলার খেলা 
               


    
 মৌ দাশগুপ্তা                  





আমরা সাত কচির দল খেলা করি,
এবাড়ি ওবাড়ি, এর উঠান তার উঠান,
সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল পেরিয়েও খেলা,
খেলার খেলা, দিন বদলের খেলা, ভিন মানুষের খেলা,
সুর বদলের খেলা, স্বর বদলের খেলা, দল বদলের খেলা।

খেলতে খেলতেই আমরা ঝগড়া করি পায়ে পা লাগিয়ে,
হাতাহাতি থেকে কাটাকাটি সেরে গলাগলিও করি,
খুনসুটির ফাঁকে দেখে নি কার পকেট কতটা ভারী,
কতটা চোখ বুজে থাকলে আঈশ-বাঈশ খেলায় জেতা যায়,
কতক্ষণ এক পায়ে চললে এক্কা দোক্কায় জিতবো,
কতটা জমি আগলে রাখলে বুড়ি বসন্তে আমি শেষ হাসিটা হাসবো।

খেলতে খেলতেই আমরা পেরিয়ে আসি চেনা ঘর, পরিচিত প্রাঙ্গণ,
লুকোচুরি খেলতে গিয়ে শিখি প্রার্থিত বস্তু খুঁজে নেওয়ার রীতি,
সাপ-লুডোয় শিখে নি বন্ধুদের ফেলে চড়চড়িয়ে মইয়ে ওঠার সুখ,
দাবার জীবন্ত গুটি হয়ে শিখি আড়াই চাল, কিস্তিমাৎ,
কিম্বা সেই জাদুর খেলা গিলি গিলি গে, এই আছি এই নেই,
অথবা বাইশ গজের হার জিতের লড়াই।

খেলতে খেলতেই আমরা শিখে নি আঙ্গুল গোনা,
জীবনের যোগ বিয়োগের অঙ্ক, সুদকষা,লাভক্ষতি।
সবেক খেলার নিয়ম কানুন, সুলুক সন্ধান,
তারপরেই তো বাস, কেল্লা ফতে! বাড়ি ফেরার পালা,
সময় বুড়ো আঙ্গুল তুলে ঘরের রাস্তা দেখানোর আগেই,
আমরা সাত কচি খেলুড়ে খেলতে খেলতে বুড়িয়ে যাই,
ত্রিকালদর্শী মহাপুরুষের মত।




জীবন নাবিক



-ডা.সুরাইয়া হেলেন

 

জীবনের মূল্যে কেনা সুখ-দুঃখের বেসাতিতে
দুঃখগুলো অবিক্রীতই থেকে গেছে চিরকাল !
সুখগুলো সযত্নে লুকিয়ে রাখা চোরাকুঠুরী থেকে
ছিনিয়ে নিয়েছে হিংস্র হায়েনার মতো
তীক্ষধার ভয়ানক দ্রুতগামী সময় !
বিষাদের ব্যাংকে জমা হতে হতে কষ্টগুলো
গড়েছে সুউচ্চ হিমালয় পর্বত !
আনন্দ সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে
নিশানা হারিয়ে,কম্পাসহীন জাহাজ নিয়ে
ক্রমাগত তীরের খোঁজে আজও অসীম উদ্দেশ্যহীন
যাত্রায় নিরন্তর বেয়ে চলেছি,ছুটে চলেছি
আমি—এক দিকভ্রান্ত নাবিক !



ঘূণবাক্সের ডায়েরি




রাজর্ষি ঘোষ



একগুচ্ছ শ্যাওলা প্রেম আর একদলা উইপোকা
জড়িয়েছিল ঘূণবাক্সটায়।
তখন বুকে টনটন করছে আহ্লাদী পশম।
বস্তুত, রেশম পোকাটার সাথে ওর শত্রুতা বহুদিনের...
তবু অসাবধানী হাতে রঙিন সুতো কেটে
ডালাটার উদ্বোধন করতেই
বেড়িয়ে এলো –
জাহ্নবী হাওয়া ও উদার বসন্ত;
ঝুর ঝুর করে ঝরে পড়ল তুষার ছাঙ্গু উপত্যকায়।
তুই গলছিস? বেশ তবে তাই হোক।

তারপর বেশ কিছু ধূলো-ধোঁয়া, বিষাক্ত মৌমাছি,
ও অপ্রাসঙ্গিক পাণ্ডুলিপি সরিয়ে রেখে,
প্রাচীন ক্রিসমাস ডেকোরেশনের তলা থেকে উঁকি মারল
হলদেটে ডায়েরি।

অনভ্যস্ত হাতে পাতা উলটোতে গিয়ে হতবাক আমি।
থই পাচ্ছি না।
প্রশান্ত মহাসাগর; তবু ডুব দিলাম নুলিয়ার বেশে।
ঘেঁটেঘুঁটে দেখি, সব মুক্তোই আছে,
বেপাত্তা শুধু রোববারটাই।
বিয়োগফলে প্রাপ্তি অপ্রয়োজনীয় কিছু খুচরো দশমিক।
ব্যাপারটা কি?

বিরক্তিসূচক শব্দে ডায়েরিটা বিসর্জন দিতে গিয়ে,
হাত কেটে গেল ভাঙা কাঁচে।
আঙুলের ফাঁকে নীলাভ রক্ত...
উফ্ প্যান্ডোরা!
জানিসই তো রোববার আমি শ্মশানে পুড়তে যাই।



স্মৃতিগুলো ছবি করে নেবো



-আব্দুল্লাহ্ আল জামিল




স্মৃতিগুলো ছবি করে নেবো
ফটোগ্রাফাররা যেমন বিলুপ্তপ্রায় জীবের ছবি তুলে।
আস্তে আস্তে সব কিছু কেমন যেন হারিয়ে যায়
খাল, নদী, নালা, বন, বিশুদ্ধ বাতাস।

মেইল ট্রেন দ্রুত ছোটে, হারায় সবুজ মাঠ
হারায় দূরের গ্রাম, গাছপালা, গরু-ছাগলের পাল
স্মৃতিরা সব হারায় এক এক করে।
স্মৃতিগুলো আমি আজ ছবি করে নেবো।

চুন খসে পড়া দেয়ালে তোমার মুখচ্ছবি দেখি
স্মৃতিগুলো এসে ভিড় করে তার পাশে
খসে পড়বে ওরাও একদিন অবশিষ্ট চুনগুলোরই সাথে
স্মৃতিগুলো তাই আজ ছবি করে নেবো।

তুলো ভাসে, মেঘ ভাসে, ভাসা ভাসা স্মৃতি
প্রতিনিয়ত বয়স-পোকা কাটছে স্মৃতির পাতা । 




নেশাগ্রস্ত চাহিদা






সিপাহী রেজা




আমি বড় বেশী অস্থির !
একটা হুলুস্থুল রকমের প্রেম চাই
তোমার চুল থেকে পায়ের নখে মোড়ানো প্রেম চাই !
কনকনে শীতে আগুনের মত চাই তোমার স্পর্শ!

বলতে দ্বিধা নেই-
চাই তোমার সম্পূর্ণ ওম, দিনে কিংবা রাতে
চাই শরীর কাঁটা দিয়ে উঠা, তোমার প্রতিটি চুম্বন।
যতটুকু লিখে প্রকাশ করা যায় না তারও অধিক...
চাই- নেশাগ্রস্থ যুবকের মত, “তুমি” নামক প্যাথিড্রিন।

সিনেমার মত একরোখা; উন্মাদ পাগলের মত,
অত বাধা – অত প্রতীক্ষা – অত ভূমিকা নয়
বাচ্চাদের আবদারের মত তোমাকে চাই, ফুচকার টঙে।
শুধু, বিশেষ উৎসব-আয়োজনে সাজানো পুতুল রূপে নয়
চাই দৈনন্দিন চলাফেরায়- রিক্সায়, জনবহুল ফুটপাতে।


আল্লাহ্ কিরা লাগে- একটা প্রেম চাই!
অনেকটা তেঁতুলের মত-
যেন জিব ছোঁয়াতেই শিউরে উঠে অনাবাদী শরীর।




আবছায়া কিছু প্রতীক্ষা  




 


অনন্যা ব্যানার্জী








জানি কখন ও আর তুমি আমায় ডাকবে না ,
আর আমার স্রোতে ভাসবে না ।
জানি কখন ও আর থাকবে না
আমার জন্য তোমার অধীর অপেক্ষা ,
জানি আর কখন ও কাঁদবে না তুমি আমার নীরব প্রতীক্ষায় ।
বলবে না তুমি কখনো যে চল ,
দু জনে মিলে চলে যাই ঐ আদিবাসী গ্রামে ,
কোনো এক পূর্ণিমা রাতে ।
টিলার ওপর বসে ,
মদ মহুয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে, দেখবো চাঁদনী রাতে আদিবাসী রমণীদের নাচ ,
তুমিও ভিড়ে যাবে ওদের দলে ,
নাচবে কোমর জড়িয়ে হেলে দুলে ।
জানি কখন ও তুমি হঠাৎ আমার জন্মদিনের সন্ধ্যায়
তোমার প্রিয়তম বাহন টির পিছনে চাপিয়ে
নিয়ে যাবে না ঐ পাহাড়ী নদীটার তীরে ।।
আর ভালোবাসার চুম্বনে রাঙাবে না তুমি আমায় ,
তবুও কেন যেন
আমি আজ ও থাকি
তোমার ভালোবাসার প্রতীক্ষায় ??



“আকাশলীনা” 



=শ্রীশুভ্র*




সহস্র সহস্র আলোকবর্ষ দূরে
যে আলোটা মরে শেষ হয়ে
গেছে বহুদিন আগে;
তারও ছবি আজ আকাশের
এই পাড়ে রাত কালো অন্ধকারে
তোমার স্মৃতিই যেন
আবার ফিরিয়ে আনে!

প্রতিটি মৃত্যুর ইষ্টিশানে
দুঃখের প্ল্যাটফর্মে যত স্মৃতি
ভিড় করে শতকের মিছিলে
দক্ষিণ সমুদ্র থেকে মিশরের
পিরামিড পাথরে
খোদাই তোমার নাম!

এশিয়া আফ্রিকা ছেড়ে
আমাদের ঘাড় কুঁজো বাংলাদেশে মাঘ নীলিমায়
মৃদু শীতে স্মৃতির রোমন্থন
নামে স্বপ্নের অবচেতন ভীরে
ব্যথার শরীরে!

তবু এই ব্যথা কেবল
ঘুরে ঘুরে মৌসুমী বায়ুর
মত বৃষ্টির আদরে
উর্বর করে যায় হৃদয় আমার; সেইখানে
শিশির সবুজ ঘাসের চিবুকে
তোমার ঠোঁটের ছোঁয়া যেন আছে;
গোপন আলোক বর্ষব্যাপী
ছায়াপথের কাছে!




নীল খামে সেই ইচ্ছের জোনাক






- ওমর জাবীন










কি সুন্দর নীল খাম!
নীল খামের চিঠিটি পোস্ট করা হয়নি আজো।
অপূর্ণতায় থেকে যায় আমার ইচ্ছেগুলো…
খুব অবহেলায় পড়ে থাকে মনের ইচ্ছেগুলো।

তুমি কি পড়ে দেখবে,
সেই নীল খামের চিঠিতে কি এমন লেখা
কি এমন ইচ্ছের রঙ খেলা করে
তোমাকে হারিয়ে নিয়ে যেতে চায়
কোন্ সে অচিন প্রান্তে,
কোন্ সে মধুর আহ্বানে?

পারবে তুমি সেই চিঠি ছুঁয়ে দেখতে?
গোলাপ পাপড়িতে সাজানো প্রতিটি অক্ষর;
মনের অজান্তে তোমাকে ছুঁয়ে যাবে
সত্যিই তোমাকে হারিয়ে নিয়ে যাবে
মুগ্ধতার আশ্বাসে এক অচেনা আনন্দে!

কি সুন্দর নীল খাম!
নীল খামের চিঠিটি পোস্ট করা হয়নি আজো।
আজো অপেক্ষায় থাকি তোমার!





শেষ গন্তব্য



-রুদ্রনীল রায়চৌধুরী



একটু অনিচ্ছাকৃত অনাদর আজ বড় বেশি পোড়ায় আমায়...!!
আমি তো এমন নই....!!

তবে কি পুর্ণতা এসে দোলাচ্ছে আমায়..?
পুর্নতার সাথে বসত করা হয়নি কখনো,
... তবে কি করে বুঝবো কোনটা নম্রতা আর কোনটা তিক্ততা..।
বুঝতে যে আমাকে হবেই....
না পাওয়ার মধুরতা আমায় বারবার উতরাতে সাহস যুগিয়েছে,
কিন্তু পেয়ে হারানোর মতো কন্টকাকির্ন পথ আমি চলতে চাই না,
কাম্যও নয়, তাইতো আপোষ করি অহরহ।।
আজ আমার পৃথিবীকে ভীষণ পছন্দ,
জীবনের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটেছি অন্যের প্রয়োজনে
আজ নিজের পূর্ণতায় একটু ছুটি নিলে ক্ষতি কি?
নিজের প্রাপ্তি বলে আমারও'তো কিছু একান্ত নিজস্বতা --
আজ পেতেই পারি পৃথিবীর বুক চিরে,
অর্জন করে নিতে পারি আমার বলে কিছু...!!

পূর্ণতাকে পাশে নিয়ে তার নিজস্বতায় আজ বড্ড বেশি প্রয়োজন যে আমার,
নিজেকে নিজের থেকে আলাদা হতে দিতে পারবো না যে আর...
এটা কি খুব বেশি চেয়ে নিলাম পৃথিবী তোমার কাছ থেকে...!!
যদিও তুমি দিতে না চাও, দিয়ো'না,
তোমার কাছ থেকে ছিনিয়ে আনার ক্ষমতা বরাবরই আমার ছিলো...
থাকবে অ.....ন....ন্ত.....কাল।
যদি তুমি ভেবে নাও এ আমার যোগ্যতা....!!
তবে কেন বারবার পরাজিত করার মরণ নেশায় তুমি মাতো...?
জবাব যদি দিতে না পারো তবে ছেড়ে দাও,
আমার মতো করে, আমার পূর্ণতার বাড়িতে বসতের...
শেষ ঠিকানা তো আমারই প্রাপ্য......!!