সপ্তম সংখ্যায় ষোলটি কবিতা, লিখেছেন -শর্মিষ্ঠা ঘোষ,নীল আলো,মৌ
দাশগুপ্তা,অমিতাভ দাশ,সৌমিত্র ঘোষ,রেজওয়ান তানিম,এম আর ফারজানা,এলিজা
আজাদ, অর্পিতা,সিপাহী রেজা ,শাকিলা তুবা,ফারহানা খানম,প্রিয়দীপ,আসিফ আবরার,ফেরদৌস হাসান খান এবং মোঃ সরোয়ার জাহান ।
কিছু নেই
-শর্মিষ্ঠা ঘোষ

কিছু বাকি রয়ে যাচ্ছে ,ভুলে যাচ্ছি কিছু
কিছু বলব বলে এসেছিলাম কাছে
কিছু পড়ে গেল শব্দ বন্ধের ফাঁকে
কিছু সময় আর সুযোগের অপেক্ষায়
কিছু বিমূর্ত ক্ষণ বাকি রয়ে গেল শেষে
কিছু ভালোলাগা অবিনশ্বর, অনিমিখ
কিছু পাবার শর্তে বাঁধা অসম্ভব তাও
কিছু প্রত্যাখ্যানও মুছে দিল না তাদের
কিছু নেই হাতে এছাড়া আর,হৃদয়ের
কিছু নেই অমূল্য রতন তোকে অদেয়।
কিছু বলব বলে এসেছিলাম কাছে
কিছু পড়ে গেল শব্দ বন্ধের ফাঁকে
কিছু সময় আর সুযোগের অপেক্ষায়
কিছু বিমূর্ত ক্ষণ বাকি রয়ে গেল শেষে
কিছু ভালোলাগা অবিনশ্বর, অনিমিখ
কিছু পাবার শর্তে বাঁধা অসম্ভব তাও
কিছু প্রত্যাখ্যানও মুছে দিল না তাদের
কিছু নেই হাতে এছাড়া আর,হৃদয়ের
কিছু নেই অমূল্য রতন তোকে অদেয়।
তুমি শুধু তুমি
আমার কাছে ভালোবাসা মানে বিশ্বাস--সে তুমি।
একদিকে সবকিছু, অন্যদিকে তুমি......
চাঁদের আলোয়, বাতাসের সৌরভে এ পারে- ওপারে,
তুমি শুধু তুমি।
দিবা নিশি না পাওয়ার কষ্টে তুমি
সাতটি অমরাবতী জুড়ে আছ তুমি......
বন্ধনহীন অবারিত বন্ধনে দুর্লভ রত্নের মত তুমি,
তুমি শুধু তুমি।
কে আগে প্রেমে পড়েছিলো ? আমি নাকি তুমি
যে ই পড়ুক আগে, অনুপম অনুরাগে নির্জন অনুভবে তুমি,
আমার ভালোবাসা তোমার মনের গভীরে...
জগতের সকল মায়া ভেদ করে,সকল উপমায়
তুমি শুধু, আর তুমি।
আলো আঁধারের অনন্ত বিস্ময়ে মিশে আছ তুমি
অলস কিংবা কাজের মাঝে উঁকি দাও তুমি ...
হাসি কান্না রাগ দুঃখ অভিমানে কোথায় নেই তুমি,
তুমি শুধু তুমি।
কল্পনায় কিংবা নিকুঞ্জে মনোহর যমুনায় সেখানেও তুমি
সকালের শুভ্রতা থেকে খা খা দুপুরে কেবল তুমি......
পড়ন্ত বিকালে কিংবা সন্ধের অবকাশে তাও তুমি,
তুমি শুধু তুমি।
শত জনতার ভিড়ে চোখে ভাস তুমি
রবীন্দ্র, নজরুল, জীবনানন্দ, সুকান্তেও তুমি......
দৃষ্টির সীমানায়, দিগন্ত জুড়ে যে দিকে তাকাই তুমি,
শুধু তুমি, তুমি।
একি মোহ মায়ার যাতনায় বাঁধলে গো তুমি
আমার হৃদয়ের পুরোটা জুড়ে কেবল তুমি,
সাত বাই চব্বিশ জুড়ে থাকো তুমি...।
পাওয়া না পাওয়ায় হৃদয়ের অনির্বাণ আগুনেও তু্মি,
তুমি শুধু তু্মি আর তুমি।।
তুমি
ফিরে
এসো

তোমার জন্যে রেখে দিয়েছি
আকাশে আলোর কারিকুরি,
রোদে ঝলমল সবুজ পাতা
রোদ বৃষ্টির লুকোচুরি।
তোমার জন্যে সাজিয়ে রাখি
ভুলে যাওয়া সুর, অবুঝ গান,
এক মুঠো রোদ, এক ফালি চাঁদ
গোধূলির রঙে তুলির টান।
তুমি আসবে বলে গুছিয়ে রাখি
না বলা কথার প্রতিলিপি,
চোখের জলের শুকনো স্মৃতি
বারোমাস্যার দিনলিপি।
তুমি ফিরবে বলে মুছে রেখেছি
ধুলোয় ঢাকা আয়না,
সাদাকালো স্মৃতির কোলাজ
শীতলপাটি বায়না।
ফিরে আসে স্মৃতি বেলা অবেলায়
ফিরে আসে পাখি নীড়ে,
ফিরে আসে দিন রাত্রের শেষে
চেনা অচেনার ভিড়ে।
ফিরে আসে প্রেম, উদাসীন রাত
অভিমানে ফেরে বিরহী মন,
তোমার জন্যে ফিরে ফিরে চাই
ফিরছ না তুমি, ব্যাকুল ক্ষণ।
তুমি আসো না বলেই স্বপ্ন সাজাই
না বলা কথার কবিতা,
তুমি আসো না বলেই পথ চেয়ে থাকি
নীরবে জানাই বারতা।
তুমি আসো না বলেই বৃষ্টিরা ঝরে
দাবদাহে জ্বলে সবুজ বন,
তুমি আসো না বলেই আজও একা আমি
একাকী সময়, একলা মন।।
আগামী অভ্রখচিত দিনগুলি
এরকম প্রত্যাশা তো থাকে
সোহাগে আদরে রাত ভারী মন্থর করে অনুধ্যানে
বৃক্ষমূলে মগ্নব্রতী হবে । আনমনা ভোর তুলবে হাই...
এরকম প্রত্যাশাই ছিল
দিন বা দুপুর এলে বারান্দায় বাতাসেরা পূব দোলা দিলেও
সম্ভ্রমে পর্দা সরাবেনা, পাছে মাছে বন্ধ করে ডুব, ঘাই!!
এরকম প্রত্যাশায় আছি
বিকেলের ডাক এলে পোস্টম্যান চিঠি দিয়ে ভুলে যাবে
ডাকবাক্স ও চিঠি এ ওর ধ্যানে বৃষ্টি-স্বরলিপি আনবে যৌথগানে
এরকম প্রত্যাশায় থাকি
ঝিকিয়ে উঠবে তবু মুক্ত বলাকার ডানা সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি
তিসতা তৃপ্ত উজ্জ্বল...মেঘের জানুতে নীল নীলিমা শয়ানে
এরকম প্রত্যাশায় থাকি... এরকম প্রত্যাশায় আছি... এরকম প্রত্যাশায় বাঁচি
অপেক্ষার দিনগুলি কেটে যায় -- প্রত্যাশার ছন্দে, প্রত্যাশার শব্দে বয়ানে !!
শেষবেলা
-সৌমিত্র ঘোষ
ফুরালো বেলা, সারা আজি যতো খেলা,
অশ্রু সজল চোখে বিদায় নেবার পালা ।
অনাহুত আমি কাটিয়েছি তোমার ভেলায়,
আজ বিদায় নেবার পালা ।
ছড়ানো আজও সেদিনের মতো আলোকবিন্দু যতো
বিদায় জানায় আমারো শেষ রাতে ।
আমি পদাতিক বিদায় বেলায় আঁধারের প্রহর গুনি ।
পিছনের পথ হারিয়ে গেছে আর নয় ফেরার কথা,
এবার,আমার বিদায় নেবার পালা ।
ছড়িয়ে দিয়েছি ছন্দ যতো তোমার কবিতায় মেলে
কুড়িয়ে নিও যদি মনে পড়ে একাকী সন্ধ্যাবেলা ।
বিদায়, বিদায় এবার, যাওয়ার পালা ।
চাঁদ হয়ে রব
তোমার আকাশ যদি না ঢাকে মেঘ,
তবে আনমনে চেয়ে দেখ-
আমি হয়ে রব রুপোলী চাঁদ;
শুক্লপক্ষের মায়াভরা নিশীথে ।
হাসি মুখ আমার ঢেকে দিতে, যদি লাগে
গ্রহণের কালো ছায়া, কলঙ্কদায়ী কেউ
যদি এসে হাসে, রক্ত হিম করা
জ্যান্তব হাসি, তবু অটল রব আমি !
হেসে যাব স্নিগ্ধতা ভরে,
ছড়াবো শান্ত ধবল আলো
কালো রাতের বুকের মাঝে ।
মায়াভরা পরিবেশ, আবছা আলোয়
ভরে ওঠা চারপাশ, আমি
অবাক চোখে দেখব, চরকা কাটছে
বুড়ো দাদুটা, গুটুর গুটুর করে ।
জমিয়ে আড্ডা দেবো পুরাকালের
চরকা বুড়ির সাথে, বলব তাকে
কাজ নেই আর চরকা কেটে;
ঘুমাও তুমি, আমি আছি ।
সুনসান নীরবতা ! আমাতে মুগ্ধ তুমি
চেয়ে থাকবে তখন অপলক । গল্প চলবে
আমাদের সমস্ত রাত্রিভর । একাকী
নির্জনে ভাসবে আমাদের
ভালবাসার সপ্তডিঙ্গা ।
তবে আনমনে চেয়ে দেখ-
আমি হয়ে রব রুপোলী চাঁদ;
শুক্লপক্ষের মায়াভরা নিশীথে ।
হাসি মুখ আমার ঢেকে দিতে, যদি লাগে
গ্রহণের কালো ছায়া, কলঙ্কদায়ী কেউ
যদি এসে হাসে, রক্ত হিম করা
জ্যান্তব হাসি, তবু অটল রব আমি !
হেসে যাব স্নিগ্ধতা ভরে,
ছড়াবো শান্ত ধবল আলো
কালো রাতের বুকের মাঝে ।
মায়াভরা পরিবেশ, আবছা আলোয়
ভরে ওঠা চারপাশ, আমি
অবাক চোখে দেখব, চরকা কাটছে
বুড়ো দাদুটা, গুটুর গুটুর করে ।
জমিয়ে আড্ডা দেবো পুরাকালের
চরকা বুড়ির সাথে, বলব তাকে
কাজ নেই আর চরকা কেটে;
ঘুমাও তুমি, আমি আছি ।
সুনসান নীরবতা ! আমাতে মুগ্ধ তুমি
চেয়ে থাকবে তখন অপলক । গল্প চলবে
আমাদের সমস্ত রাত্রিভর । একাকী
নির্জনে ভাসবে আমাদের
ভালবাসার সপ্তডিঙ্গা ।
.আজও আছো এই মনে
হৃদয়ের দূর্বার অনুভূতি নিয়ে
ধরেছিলাম তোমার দুটি হাতে,
তুমিও গভীর আকুলতায়
ভালোবাসার মাদকতায়
আন্দোলিত হয়ে আমায় নিয়ে
ছুটে ছিলে অজানা কোন পথে।
অচেনা শিহরণ অনুভূতি অকারণ
দুজনের মনে উঠে ছিল কাঁপন।
হিল্লোলিত স্বপ্নে বিভোর ছিল
তোমার আমার প্রতিটি ক্ষণ।
ভেবেছিলাম দুজনে দেবো
একসাথে জীবন সমুদ্র পাড়ি
হটাৎ চেয়ে দেখি তুমি ছেড়ে গেছো হাত
দিয়েছো আমার সাথে আড়ি ।
আমি জানতে পারিনি, কি এমন
অভিমানের কাঁটা বেধেছিল তোমার মনে
তোমার সপ্তর্ষি মণ্ডল ঢেকেছিলে
দুঃখের ধূসর আবরণে ।
ক্ষয়ে যাওয়া জীবনে মনের
প্রদীপের আলো যখন নিভু নিভু
এখন ও ইচ্ছে গুলো শুধু
তোমার হাত ছুঁতে চায় তবু।
মর্মস্পর্শী বেদনায় ভরে উঠে যদি
তোমার পৃথিবী কোন ক্ষণে
ফিরে এসো বন্ধু আমার কাছে
তুমি আজও আছো এই মনে।
ধরেছিলাম তোমার দুটি হাতে,
তুমিও গভীর আকুলতায়
ভালোবাসার মাদকতায়
আন্দোলিত হয়ে আমায় নিয়ে
ছুটে ছিলে অজানা কোন পথে।
অচেনা শিহরণ অনুভূতি অকারণ
দুজনের মনে উঠে ছিল কাঁপন।
হিল্লোলিত স্বপ্নে বিভোর ছিল
তোমার আমার প্রতিটি ক্ষণ।
ভেবেছিলাম দুজনে দেবো
একসাথে জীবন সমুদ্র পাড়ি
হটাৎ চেয়ে দেখি তুমি ছেড়ে গেছো হাত
দিয়েছো আমার সাথে আড়ি ।
আমি জানতে পারিনি, কি এমন
অভিমানের কাঁটা বেধেছিল তোমার মনে
তোমার সপ্তর্ষি মণ্ডল ঢেকেছিলে
দুঃখের ধূসর আবরণে ।
ক্ষয়ে যাওয়া জীবনে মনের
প্রদীপের আলো যখন নিভু নিভু
এখন ও ইচ্ছে গুলো শুধু
তোমার হাত ছুঁতে চায় তবু।
মর্মস্পর্শী বেদনায় ভরে উঠে যদি
তোমার পৃথিবী কোন ক্ষণে
ফিরে এসো বন্ধু আমার কাছে
তুমি আজও আছো এই মনে।
দক্ষিণের জানালা হয়ে গেছে বন্ধ

ভালবাসা উঁকি দিয়েছিল দক্ষিণের জানালা দিয়ে
নিটোল পায়ে আলতা রাঙিয়ে নূপুর পরে নেচেছিল
মনের বারান্দায় রুমঝুম ঝুম- রুমঝুম ঝুম;
স্বপ্নের মোহনায় ভাসাতে চেয়েছিল দুকূল ছাপিয়ে।
হৃদয়ে কড়া নেড়ে হাঁপিয়ে চলে গেছে দূর- সুদূরে---
জীবন নদীর তরী বাইতে বাইতে ছিলাম বড্ড ক্লান্ত;
কখন যে এসে হৃদয়ের বাম পাশটায় টোকা মেরে
গেছে চলে---
এতো ঝামেলায় আজ আর তা মনে নেই!
দক্ষিণের জানালা হয়ে গেছে বন্ধ অজানা কোনো
এক ভুলে---
"কারণ, সে তো গোলাপ"
তোমাকে
দেখলাম
নিস্তব্ধ সন্ধ্যার একাকীত্বে
অবহেলিত , অনাদৃত অবস্থায় ।
স্বপ্নালু চোখ তুলে তুমি দেখলে আমাকে
হয়ত কিছু খুঁজতে শুরু করলে আমার মধ্যে।
জিজ্ঞাসিলাম, ‘কিছু পেলে’? উত্তর দিলে তুমি ---------
‘না’ ।
তখন আমি তোমার স্বপ্নালু চোখের ভাষা পড়লাম
জবাব পেলাম আমার প্রশ্নের ---
তোমার দুচোখে দেখলাম ভালবাসার উঁকি ঝুঁকি
দেখলাম,পড়লাম, ভালবাসলাম ;
কিন্তু গ্রহণ করার শক্তি আমি হারিয়ে ফেলেছি ,
তোমার ভালবাসা আমার হৃদয় সমুদ্রে ঢেউ তুলল –
আমাকে নাড়া দিল ,
আমি হারিয়ে গেলাম আমিত্বের অন্ধকারে ।
অনেকক্ষণ অন্ধকার হাতড়ে বুঝলাম
তোমাকে দেবার মতো আমার কিছু নেই
রিক্ততার ডালি হাতে শূন্যতার প্রতিমূর্তি আমি ।
পাপড়ি ঝরা একটি শুষ্ক গোলাপ
তুলে নিলাম , বিষণ্ণ হলেও
সে তো গোলাপ , প্রেমের প্রতীক।
তাকেই গ্রহণ করো তোমার ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ
বিদগ্ধ মনের অনুপম রূপ পাক সে তোমার হাতে
তোমার হৃদয়ের উত্তাপে সে বিকশিত হোক,
আমি হয়তো বিস্মৃতির পথে বিলুপ্ত হব একদিন
সে বহন করবে মোর পরিচয় সেদিন।
পুরানো কাগজের সঙ্গে বাসি বলে তাকে ফেলে দিয়ো না,
অনাদরের জ্বালা সহ্য করার ক্ষমতা তার নেই
কারণ, সে তো গোলাপ, প্রেমের প্রতীক।
অবহেলিত , অনাদৃত অবস্থায় ।
স্বপ্নালু চোখ তুলে তুমি দেখলে আমাকে
হয়ত কিছু খুঁজতে শুরু করলে আমার মধ্যে।
জিজ্ঞাসিলাম, ‘কিছু পেলে’? উত্তর দিলে তুমি ---------
‘না’ ।
তখন আমি তোমার স্বপ্নালু চোখের ভাষা পড়লাম
জবাব পেলাম আমার প্রশ্নের ---
তোমার দুচোখে দেখলাম ভালবাসার উঁকি ঝুঁকি
দেখলাম,পড়লাম, ভালবাসলাম ;
কিন্তু গ্রহণ করার শক্তি আমি হারিয়ে ফেলেছি ,
তোমার ভালবাসা আমার হৃদয় সমুদ্রে ঢেউ তুলল –
আমাকে নাড়া দিল ,
আমি হারিয়ে গেলাম আমিত্বের অন্ধকারে ।
অনেকক্ষণ অন্ধকার হাতড়ে বুঝলাম
তোমাকে দেবার মতো আমার কিছু নেই
রিক্ততার ডালি হাতে শূন্যতার প্রতিমূর্তি আমি ।
পাপড়ি ঝরা একটি শুষ্ক গোলাপ
তুলে নিলাম , বিষণ্ণ হলেও
সে তো গোলাপ , প্রেমের প্রতীক।
তাকেই গ্রহণ করো তোমার ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ
বিদগ্ধ মনের অনুপম রূপ পাক সে তোমার হাতে
তোমার হৃদয়ের উত্তাপে সে বিকশিত হোক,
আমি হয়তো বিস্মৃতির পথে বিলুপ্ত হব একদিন
সে বহন করবে মোর পরিচয় সেদিন।
পুরানো কাগজের সঙ্গে বাসি বলে তাকে ফেলে দিয়ো না,
অনাদরের জ্বালা সহ্য করার ক্ষমতা তার নেই
কারণ, সে তো গোলাপ, প্রেমের প্রতীক।
গহীনে কিছু সবুজ ঘাস আলো বিনে হলুদ, ফ্যাকাসে
তার মানে এই নয় যে সেখানে স্পন্দন ছিল না,
মায়া ছিল না, পূর্ব জন্মের ভয় ছিল না
সেখানে ভেসে যাওয়া মেঘের ছায়া ছিল না,
অভাব ছিল না ঘোর লাগা দুপুরের!
অতঃপর লবণের গায় জলের ছোঁয়া পরে !
দর্শন ক্ষয়ে যায় পুরাতন পাঁচিলের শরীর থেকে
সেখানে গুনে গুনে ইটের লাল ছাপ সয়ে যায়,
বসে যায় লতার স্পর্শ।
অনেক দিনের জমানো তৃষ্ণা নিয়ে-
যুবক যুবতীর দল বেড়িয়ে পরে আবিষ্কারে,
মোহ তাদের প্ররোচনা দেয়,
মুগ্ধ হওয়ার ক্ষমতা তাদের চাঙ্গা করে তোলে।
তারা হারিয়ে যায় গেরিলার মত,
বিস্ময় নিয়ে ডুবে যায় গ্রাম্য বিকেল তাদের চোখে।
অবশেষে সমস্ত অনুভূতি ফ্রেমে সেঁটে-
ফিরে যায়, যে যার মত!
দিনে দিনে অভ্যস্ত হয়ে পরে সময়!
তবু মাটির জগৎ নিয়ম করেই খুব ভোরে জেগে যায়।
নিয়ম করেই একটা পাখি সুর তোলে শূন্যতার,
জেগে থাকে ফসলের কাকতাড়ুয়া।
এমন শহুরে দিনে-
অভাব শুধু একটানা বাতাসের, একটানা বৃষ্টি, একটানা বিজলীর আওয়াজ ।
গুড়ি গুড়ি থেকে আবছা হয়ে আসা বিস্তর ধানক্ষেত পেড়িয়ে একটা গ্রাম্য পুকুর,
তার ঘাঁটে, শানের উপর স্যাঁতসেঁতে ক্ষত- ভালোবাসি তোমায়, প্রিয়...
শিক্ষিত জন
-শাকিলা তুবা
“বিদ্বত্ত্বঞ্চ ণৃপত্ত্বঞ্চ নৈব তুল্যং কদাচন
স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।“
তুমি বিষ্ণুগুপ্ত, তুমি কৌটিল্য, তুমিই চাণক্য
অর্থশাস্ত্রের প্রাণপ্রদীপ হে তক্ষশীলাপুত্র
তোমার অভাব রয়ে গেছে এই বঙ্গদেশে।
দেশ মাতা, দেশ ভ্রাতা, দেশ সর্বহরা
রাজন্যকূল আমার মামাতো...
রাজারা বাড়ছে ক্রমাগত
বিদ্বানের অভাবে দেশ মরুভূমি
চাণক্য প্রভু’হে তুমি আরবার জন্মাও এ দেশে।
চলতে চলতে কবে খসে গেছে দেশের জুতোর তলা
বিদেশী কেউ বলেছিল, আহারে মৃত্যু এসেছিল পিছন থেকে
মাতৃজঠরে শিশুটি ফুঁসে উঠেছে এসব শুনে
তবু বিকার নেই কারো
মৃতপ্রায় দেশে সবাই হাঁটে, খায়-দায় আগেরই মত।
নির্ধারন হোক এই মাটির সীমা
অনর্থ নিয়ে যাক বিল গেটস বা অন্য কেউ
আন্তর্জালে সারাদিন প্রেমের মাছ না ধরে
চলে যাক সবাই ক্ষেত-খামারে
চাণক্য শিক্ষায় শিক্ষিত একটি স্বদেশ চাই।
স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।“
তুমি বিষ্ণুগুপ্ত, তুমি কৌটিল্য, তুমিই চাণক্য
অর্থশাস্ত্রের প্রাণপ্রদীপ হে তক্ষশীলাপুত্র
তোমার অভাব রয়ে গেছে এই বঙ্গদেশে।
দেশ মাতা, দেশ ভ্রাতা, দেশ সর্বহরা
রাজন্যকূল আমার মামাতো...
রাজারা বাড়ছে ক্রমাগত
বিদ্বানের অভাবে দেশ মরুভূমি
চাণক্য প্রভু’হে তুমি আরবার জন্মাও এ দেশে।
চলতে চলতে কবে খসে গেছে দেশের জুতোর তলা
বিদেশী কেউ বলেছিল, আহারে মৃত্যু এসেছিল পিছন থেকে
মাতৃজঠরে শিশুটি ফুঁসে উঠেছে এসব শুনে
তবু বিকার নেই কারো
মৃতপ্রায় দেশে সবাই হাঁটে, খায়-দায় আগেরই মত।
নির্ধারন হোক এই মাটির সীমা
অনর্থ নিয়ে যাক বিল গেটস বা অন্য কেউ
আন্তর্জালে সারাদিন প্রেমের মাছ না ধরে
চলে যাক সবাই ক্ষেত-খামারে
চাণক্য শিক্ষায় শিক্ষিত একটি স্বদেশ চাই।
তোমাকে হারালে
তোমাকে হারালে আবেগে রেখেছি
যেটুকু প্রণয় তারই দু-ফোটা তুলে
নেবে অশ্রুজল।
তোমাকে হারালে প্রতিটি সুখের
যেটুকু বৃষ্টি আছে ভেসে যেতে পারে
দুখের প্লাবনে।
তোমাকে হারালে আঁধারের বুকে
সঁপে দিতে হবে পূর্ণ চাঁদ ফিরে দেখা
আলোর সমাধি।
তোমাকে হারালে আনাড়িপনার
ক্ষমা নেই বলবে না কেউ মিষ্টি হেসে
চেষ্টাতো করছো!
তোমাকে হারালে ঠিকানাদেরও
জানা নেই কোন পথে গেলে পাওয়া যায়
তোমার সঙ্গতা ।
তোমাকে হারালে ধুসর কাগজে
নির্বাসিত কবিতারা আলতো পরশে
তুলে নেবে ধুলো।
তোমাকে হারালে ধুর ছাই জ্বালা!
যেটুকু প্রণয় তারই দু-ফোটা তুলে
নেবে অশ্রুজল।
তোমাকে হারালে প্রতিটি সুখের
যেটুকু বৃষ্টি আছে ভেসে যেতে পারে
দুখের প্লাবনে।
তোমাকে হারালে আঁধারের বুকে
সঁপে দিতে হবে পূর্ণ চাঁদ ফিরে দেখা
আলোর সমাধি।
তোমাকে হারালে আনাড়িপনার
ক্ষমা নেই বলবে না কেউ মিষ্টি হেসে
চেষ্টাতো করছো!
তোমাকে হারালে ঠিকানাদেরও
জানা নেই কোন পথে গেলে পাওয়া যায়
তোমার সঙ্গতা ।
তোমাকে হারালে ধুসর কাগজে
নির্বাসিত কবিতারা আলতো পরশে
তুলে নেবে ধুলো।
তোমাকে হারালে ধুর ছাই জ্বালা!
শেষ
প্রহরে
-প্রিয়দীপ

ক্লান্ত এই পরিক্রমায়,আর গোপনীয়তা নয়
শুনতে রাজী নই পুরনো নদীর
পলি মাটির প্রলেপিত ক্ষতের বর্ণনা ।
বরং এসো ,
জোছনায় মাখা ঝুঁকে পড়া সন্ধ্যায় ,
মেঘের ভ্রুকুটি উড়িয়ে -
চাঁদের কলঙ্ক মাখি - স্পর্শ সুখে গ্রহণের দহনে আঁকি
সরল রেখায়, তোমাতে আমাতে
হৃদয়ের সঙ্গতে ।
চাইলেই,
ভাস্কর্যের সুনিপুণ কারুকার্যে আজ - নীরবতা’র বাঁধ ভেঙ্গে দেবো
সুখ শান্তি নির্ণয়ে মেপো - তৃপ্তি কাকে বলে হৃদয়ে মেখো,
উন্মুক্ত বক্ষের হাজারো খুনসুটি , উল্কাপাতের ন্যায় আঁকি বুকি
মোছা যায় না - অবিশ্বাসে না হয় বক্ষে পরখ করেই দেখো ।
পারুল ,
দিনান্তে ঝড়ে যাবে মাঠের ফসল –
মেঘ থেকে ঝরবে আষাঢ়ে অশ্রু
ভেসে উঠবে নদী’র বুক, ভেঙ্গে পড়বে অহংকারী কূল ।
বরং এসো , শেষ প্রহরে -
প্রত্যাশার বিন্দু বিন্দু মেঘের বুক চিরে সৃষ্টি করি কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি,
ধুয়ে মুছে দেই সকল ক্লান্তি অবসন্ন মলিনতা ,
পূর্ণ হোক পরম শীতল আস্বাদ , প্রসব হোক মধুময়তার সৃষ্টি
ছড়িয়ে পড়ুক নীলাভ আলোয় বন্ধনের স্নিগ্ধ মাদকতা ।।
পাথর...জল...অপ্রকাশ্য
-আসিফ আবরার

এখানে আকাশ নির্ঘুম
অগণিত জলরাশি ছড়ায়
একদিন কি বিষণ্ণ তাকিয়েছিল রাতজাগা মেঘ
আমার মলিন চুল
কুঁচকানো বুকপকেটে একটি অবহেলা প্রেম
তবে নয় সন্দেহাতীত কখনোই
কেননা জলকে ভালবেসেই আমি পদ্ম চিনেছি।
ওরা কি বোঝেনি কখনো
একটা মানুষ খুব হাহাকার থেকে গান গায়
আর একটি শাব্দিক মেঘের মতোই তাঁর গানগুলো অসমাপ্ত থাকে?
অনার্য শাব্দিক মেঘগুলো এই গ্রীষ্ম শহরে
পলাশের মতো নক্ষত্রে ঝরে।
আমরা তাকে বৃষ্টি ভেবে ছুঁই...আমি ছুঁতে চাই
শাব্দিক জল...
জলীয় শব্দ...
রাতজাগা মেঘ...
অথচ আমি কি আশ্চর্য একজন কবির মতোই দুর্বোধ্য থেকে যাই!
এমন কথা কবে কে বলেছে তোমাকে
একটি শুঁয়োপোকা সবসময় খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে
প্রজাপতি হবে বলে?
পিষে মরারও তো আনন্দ আছে!
লাল শাড়ীতে স্বপ্ননারী
আমি জানি চাঁদ কলঙ্কিত
কিন্তু আমার তুমি, নিষ্পাপ পূর্ণিমা
তোমার নীল আঁচলের আবেগী বাতাসে
উড়ে গিয়েছিল বুকে জমাট বাঁধা নীল কষ্টগুলো।।
লাল শাড়ীতে তুমি প্রস্ফুটিত নিষ্পাপ গোলাপ
আমি সেই গোলাপের কাছে সঁপেছি
এক জীবনের সব ভালোবাসা আমার ।।
তুমি আমার কাছে কখনো
বিমুগ্ধ রজনী, কখনো
শিউলি ফোঁটা ভোর,
কখনোবা দখিণা হাওয়ায় বৃক্ষের ছায়া।।
তুমি আমার কাছে,
দু’হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পথিক
দুয়ার খুলে অপেক্ষায় থাকা প্রেমিকা
মনের ছোট্ট চিলের কোঠায় সাজিয়ে রাখা বাসর,
যেখানে প্রতিনিয়ত
টুকরো টুকরো ভালবাসায়
সাজাই আমার স্বপ্ননারীকে
কবিতার উপমায় উপমায়।।
কিন্তু আমার তুমি, নিষ্পাপ পূর্ণিমা
তোমার নীল আঁচলের আবেগী বাতাসে
উড়ে গিয়েছিল বুকে জমাট বাঁধা নীল কষ্টগুলো।।
লাল শাড়ীতে তুমি প্রস্ফুটিত নিষ্পাপ গোলাপ
আমি সেই গোলাপের কাছে সঁপেছি
এক জীবনের সব ভালোবাসা আমার ।।
তুমি আমার কাছে কখনো
বিমুগ্ধ রজনী, কখনো
শিউলি ফোঁটা ভোর,
কখনোবা দখিণা হাওয়ায় বৃক্ষের ছায়া।।
তুমি আমার কাছে,
দু’হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পথিক
দুয়ার খুলে অপেক্ষায় থাকা প্রেমিকা
মনের ছোট্ট চিলের কোঠায় সাজিয়ে রাখা বাসর,
যেখানে প্রতিনিয়ত
টুকরো টুকরো ভালবাসায়
সাজাই আমার স্বপ্ননারীকে
কবিতার উপমায় উপমায়।।
“…আগুন থেকে জ্বলে আগুন…”
-মোঃ সরোয়ার জাহান
আঁচে পুড়ে যায় নীল সমুদ্রও
মুক্তির বহুবর্ণ বাসনায়
দ্বিধাহীন বাঁচার সম্মুখে
নিঃশব্দে মিলিয়ে যাওয়া !
কখনও ডাকবে না বান
আঁধার সাগরে হয়তো আবার ,
মুক্তি নেই ;
বন্দী হয়ে আছি
সেই যে আদিম নেশায় !
অসহিষ্ণু যৌবন জ্বালা
স্খলিত পায়ের ছন্দে
ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারি
অন্তহীন দ্বীপহীনতার দিকে অন্ধকারে !
বুক কেঁপে কেঁপে উঠে
আগুন থেকে জ্বলে আগুন
জ্বলে স্বপ্ন কিম্বা অসমাপ্ত কথা
ক্রুদ্ধ জলের প্রবল তোলপাড়ে তেজি স্রোতে
ভেসে যায় লোহার হৃদয়
ভুল ভাঙাবার মতো অকস্মাৎ
কূল ভেঙে ভেঙে !